অ্যালোভেরা হচ্ছে এমন একটি উপাদান, যার ব্যবহার বিশ্বব্যাপী সর্বত্র। আর এই সব ক্ষেত্রে ব্যবহারের পিছনে রয়েছে অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ। ত্বক থেকে চুল, শারীরিক থেকে মানসিক, সব জায়গাতেই নানান কারণে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একই ভাবে এটি ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও সহায়ক।
সারা বিশ্বের বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, অ্যালোভেরার নির্যাসে লেকটিন, ম্যাননান্স এবং অ্যানথ্রাকুইনোনের মতো যৌগ রয়েছে, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলিকে রক্ষা করতে এবং মেরামত করার জন্যও সহায়ক।
অ্যালোভেরা হচ্ছে এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ, যা আপনি সহজেই বাড়িতে রোপণ করতে পারেন। তাই এই উপাদানকে কীভাবে আপনার ডায়বেটিক ডায়েটে যুক্ত করবেন দেখে নিন এক নজরে।
১) অ্যালোভেরার চা
ডায়বেটিস রোগীরা অ্যালোভেরার চা দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। এর জন্য একটি অ্যালোভেরার পাতা থেকে নির্যাস বার করে নিন। তারপর সেটা গরম গ্রিন টির সঙ্গে ফুটিয়ে পান করুন। দিনের শুরুতে এই চা পান করলে শুরু শরীর নয়, ভাল থাকবে মনও।
২) অ্যালোভেরার স্মুদি
ব্রেকফাস্টে ব্যানানা স্মুদি খান? সেই স্মুদিতে যোগ করুন দু চাচম অ্যালোভেরার জেল। এছাড়াও অ্যালোভেরার নির্যাস এবং অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালোভেরার স্মুদি।
৩) অ্যালোভেরার জ্যুস
অ্যালোভেরার পুষ্টি গ্রহণ করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল অ্যালোভেরার জ্যুস। প্রথমে অ্যালোভেরার নির্যাস নিয়ে মিক্সি মেশিনে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর তাতে পরিমাণ মত জল, নুন এবং লেবু দিয়ে পান করুন। এতে শুধু ডায়বেটিস নয়, দূর হয়ে যাবে শরীরের অন্যান্য সমস্যাও। বিশেষত, পেটের সমস্যার জন্যও সহায়ক এই অ্যালোভেরার জ্যুস।
৪) অ্যালোভেরার স্যালাদ
আপনি অ্যালোভেরার স্যালাদ বানিয়েও খেতে পারেন। এর জন্য প্রথমে অ্যালোভেরার পাতা থেকে নির্যাসটা বার করে নিন। তারপর আপনার পছন্দমত ফল ও সবজির সঙ্গে মিশিয়ে নিন অ্যালোভেরার নির্যাসটা। তাতে অল্প পরিমাণ জলপাইয়ের তেল (অলিভ অয়েল), নুন এবং গোল মরিচ মিশিয়ে খেয়ে নিন।
৫) অ্যালোভেরার তরকারি
যাঁরা মশলাদার খাবার খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য রইল অ্যালোভেরার তরকারির রেসিপি। অন্যান্য সবজির সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল বা নির্যাস মিশিয়ে এবং তার সঙ্গে মশলা দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিন অ্যালোভেরার তরকারি। এই তরকারি আপনি ভাত, রুটির সঙ্গেই খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে ডিনারের জন্য বানিয়ে ফেলুন জাফরানী পোলাও, আর তার সঙ্গে চিকেন গুস্তাবা!
আরও পড়ুন: শিক কাবাবের গল্প এর স্বাদের মতই মজাদার!