যেমন দুধ পুলি খেতে অনেকে ভালবাসেন তেমনই আবার অনেকেই মচমচে ভাজা পুলি খেতে ভালোবাসেন। এর স্বাদের মধ্যেও একটা অনন্য সুন্দর ব্যাপার রয়েছে যা জিভের জন্য নতুন মাত্রার বিনোদন যোগ করতে পারে।
Follow Us
শীত এলেই বাহারি পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায় সবার ঘরে। আর শীত মানেই পুলি পিঠা খাওয়ার আনন্দ। যদিও দুই উপায়ে তৈরি করা যায় এই পিঠা। অনেকে পুলি পিঠা রসে ভিজিয়ে খেয়ে থাকে। যাকে বলা হয় দুধ পুলি। দুধ পুলি খেতে ভালবাসে না এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন কাজ। শীতকালে পিঠে পুলি দিয়েই অনেকেই দিন আর রাতের মিলের আয়োজনও হয়ে যায়।
যেমন দুধ পুলি খেতে অনেকে ভালবাসেন তেমনই আবার অনেকেই মচমচে ভাজা পুলি খেতে ভালোবাসেন। এর স্বাদের মধ্যেও একটা অনন্য সুন্দর ব্যাপার রয়েছে যা জিভের জন্য নতুন মাত্রার বিনোদন যোগ করতে পারে। চলুন তবে আজ জেনে নেওয়া যাক মচমচে ভাজা পুলি পিঠার সহজ রেসিপি-
উপকরণ:
কোরানো নারকেল দেড় কাপ
চিনি আধা কাপ
এলাচ একটি
দারুচিনি ২ টুকরো
চালের গুঁড়া ১ কাপ
ময়দা আধা কাপ
ভাজার জন্য তেল
পদ্ধতি:
একটি ফ্রাইপ্যানে নারকেল, চিনি, দারুচিনি ও এলাচ নিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে আঁঠালো ভাব হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। এবার আরেকটি পাত্রে দেড় কাপ জল ও ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
চালের গুঁড়া ও ময়দা মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্বাল করুন। এরপর ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। হাতের সাহায্যে মথে নরম ডো বানিয়ে নিন। প্রয়োজন মনে হলে ঠান্ডা জল মিশিয়েও মথে নিতে পারেন।
খামিরটাকে দু’ভাগ করে এক ভাগ নিয়ে কিছুক্ষণ মথে লম্বা করে নিয়ে চাকু দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। এবার টুকরোগুলো নিয়ে বলের আকার করে হাত দিয়ে চ্যাপ্টা করে কিছু নারকেলের পুর ভরে বন্ধ করে নিন।
তারপর দু’হাত দিয়ে চেপে পিঠার আকৃতি নিন। এ পর্যায়ে জিপ-লক ব্যাগে ভরে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে পারেন। এবার কড়াইয়ে পর্যাপ্ত তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করুন।
তেল হালকা গরম হয়ে এলে পিঠা দিয়ে অল্প আঁচে ভাজতে থাকুন। একপাশ হয়ে গেলে উল্টে দিন। দুই পাশ বাদামি করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে নামিয়ে টিস্যু পেপার এর উপর রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।