খাবার অপচয় করা মোটেই কাজের কথা নয়। তবে আজকাল মানুষের হাতে অর্থ এসেছে, নিত্য নতুন খাবারের দোকান তৈরি হচ্ছে। মানুষের হাতে এখন অপশন অনেক। যখন যা চাইছে হাতের সামনে তাই পেয়ে যাচ্ছে। চাহিদা এত সহজে পূরণ হয়ে যায় বলে খাবার নষ্টের পরিমাণও বেশি। এতে পরিবেশ দূষণ হয়, পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হয়।
এখনও অনেক মানুষ আছেন আমাদের চারপাশে, যাঁরা দুবেলা পেটভরে খেতে পান না। যদি কোনও কারণে খাবার বেশি হয়েব যায় তাহলে ফেলে না দিয়ে যাঁদের দুমুঠো খাবার জুটছে না তাঁদের দিন।
হাতে টাকা থাকলেই আমাদের মনে হয় যে খরচ করি, আর তাই এখানেই প্রথম রাশ টানুন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনাকাটা করবেন না। যে কোনও খাবার ফেলে দেওয়ার আগে দু'বার ভাবুন। আজকাল যে কোনও মলে প্যাক করা খাবারের সংখ্যাই বেশি। ফ্রোজেন বা সুদৃশ্য মোড়কে যে কোনও খাবার দেখতে ভাল লাগে। সেই মোহে বেশি কিনে ফেলবেন না।
সবজি বেছে কিনুন। হাতের সামনে যে সবজি দেখবেন তাই-ই কিনে ফেলবেন না। সপ্তাহে কোন দিন কেমন রান্না করতে চান সেই হিসেব করে নিয়েই কিনুন। ধরা যাক পটল বেশি কিনেছেন। এবার বেশি পটল থাকলে তা হলুদ হয়ে যায়। সেই পটল ফেলে না দিয়ে বেটে ফেলুন। খেতে বেশ ভাল লাগে। সবজি বেশি পেকে গেলে তা দিয়ে স্যুপ স্টক বানিয়ে ফেলুন।
বাজারে যাওয়ার আগে হাতে-কলমে লিখে ফর্দ বানান। যে সব জিনিস ফুরিয়ে এসেছে, যা কিছু এখনই লাগবে সেই সবই রাখুন তালিকায়। সবজি, ফল আর মুদির ফর্দ আলাদা করুন। এতে নিজেরই সুবিধে হবে।
ফ্রিজের তাপমাত্রা ৫°C (৪১°F) এর নিচে রাখুন সব সময়। চেষ্টা করুন কাঁচের পাত্রে খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে। খাবার খোলা ফেলে রাখবেন না। আপেল, কলা, টমেটোর সঙ্গে অন্য খাবার রাখবেন না। খাবার এমন ভাবে রাখুন যাতে তা অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকে