Rice Water: ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে জলটা ফেলে দেন? এখনই বন্ধ করুন
Summer Tips: এই ভাতের ফ্যানের মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল রয়েছে যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে।
ভাত তৈরির জন্য মাত্র দুটি উপাদান লাগে, চাল আর জল। ভাত রান্না পর আপনি নিশ্চয়ই ফ্যান ঝরিয়ে নেন। মানে ভাত সেদ্ধর জলটা ছেঁকে ফেলে দেন। এবার থেকে আর তা করবেন না। ভাত রান্না পর ফ্যানটা (Rice Water) রেখে দেবেন। কারণ এই ভাতের জল আপনাকে যে পরিমাণ পুষ্টি জোগান দেবে, আপনি ভাবতে পারবেন না। পুষ্টিতে ভরপুর ভাতের জল। অনেকেই হয়তো জানেন যে চাল ধোয়া জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক (Skin Care) সুন্দর হয়। কিন্তু ভাতের জল বা ফ্যানকে যদি পচিয়ে পান করেন, তাহলে শরীর কতটা স্বাস্থ্যবান (Health Tips) হবে জানেন?
এই ভাতের জল বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন আমরা বাঙালিরা একে ফ্যান বলি, তেমনই অনেকে এতে কাঞ্জি, মুনজি এবং মান্ড বলে। এই ভাতের ফ্যানের মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল রয়েছে যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে। বিশেষত গরমের দিনে, যখন সূর্যের তাপ প্রখর হয়, অনেকেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। তখন যদি এই ফ্যান পান করা যায়, আপনি সারাদিন শক্তিতে পরিপূর্ণ থাকবেন।
এর জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু ভাতটা সেদ্ধ করুন। ফ্যান ঝরিয়ে ওই ভাতের জলটা একটা অন্য জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখুন। শুধু খাওয়ার ঠিক আগে ফ্যানটা একটু গরম করে নিন। তারপর সেটা পান করুন। এতে শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
ডিহাইড্রেশনের পাশাপাশি ডায়রিয়ার সমস্যা থেকেও আরাম দেয় ভাতের ফ্যান। হজম প্রক্রিয়ায় দারুণ কাজ করে ফ্যান। বাচ্চাদের কোনও কারণে খাদ্যবিষক্রিয়া হলে, পেটের সমস্যা দেখা দিলে, এই ফ্যান করাতে পারেন। অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখার জন্য মিনারেল ও প্রোবায়োটিক ভীষণ ভাবে জরুরি। আর এগুলো ভাতের ফ্যানের মধ্যে সহজেই পাওয়া যায়।
ভাত সম্ভবত প্রথম খাবার যেটা একটা শিশুকে ছয়-সাত মাস পর খাওয়ানো হয়। এর কারণ এটা নরম, সহজে হজম হয় এবং শক্তির জোগান দেয়। যখন ভাতকে চটকে আরও নরম করেন, তখন তাতে ফ্যান যোগ করুন। এতে আপনার সন্তান আরও পুষ্টি পাবে। এছাড়া যে সব শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তা থেকে তারা আরাম পাবে।
আপনি যদি এই ভাতের ফ্যানকে টোনার হিসাবে ব্যবহার করেন এটি আপনার ত্বককে আরও সুন্দর করে তুলবে। এতে ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে যা ত্বককে মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি যদি হেয়ার মাস্ক তৈরিতে এই ভাতের ফ্যান মেশান, চুলের ফ্রিজিনেস নিমেষে দূর হয়ে যাবে। সুতরাং আজ থেকে আর ভাতের ফ্যান ফেলবেন না।
আরও পড়ুন: সর্ষের তেল নাকি সাদা তেল? কোন তেলের গুণে ভাল থাকবে আপনার হার্ট?