AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Oat Milk: ওজন কমানোর নতুন সিক্রেট! জানতেন?

Oats: ওটসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই কম। এছাড়াও ওটস অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখে। আর তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন ওট মিল্ক

Oat Milk: ওজন কমানোর নতুন সিক্রেট! জানতেন?
দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন ওট মিল্ক
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2021 | 9:55 PM
Share

ওজন কমানোর লক্ষ্যে এখন সকলেই ছুটছেন। ডায়েট, জিম বাদ থাকছে না কিছুই। কিন্তু সকলেই যে ঠিকমত ডায়েট মেনে খাবার খাচ্ছেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। বেশিরভাগ মানুষই ডায়েটের জন্য আজকাল ভরসা রাখেন ইন্টারনেটে। কারণ কম সময়ের মধ্যে নানা রকম ডায়েট চার্ট পাওয়া যায় সেখানে। আর ভুলটা হয় গোড়াতেই। ডায়েট কিন্তু সবার জন্য সমান নয়। প্রত্যেক মানুষের ওজন এবং উচ্চতার উপর নির্ভর করে ডায়েট।

সেই সঙ্গে যদি শারীরিক কোনও অসুবিধা থাকে তাহলে ডায়েটও সেইমত হয়। অনেকেরই আজকাল ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, কিডনি, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকে। অনেকেরই নানা খাবারে অ্যালার্জি থাকে। তাই ডায়েটেও এই ব্যাপারগুলি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।

দুধ আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য। দুধে থাকে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন কে-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। শরীরে শক্তির উৎস হল দুধ। এছাড়াও যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন একগ্লাস স্কিমড মিল্ক তাঁরা প্রতিদিন খেতেই পারেন। তবে এমন অনেকেই আছেন যাঁদের দুধে সমস্যা রয়েছে। সরাসরি দুধ সহ্য হয় না। সেক্ষেত্রে তাঁরা খেতে পারেন ওট মিল্ক( Oat Milk)। ওটস থেকেই তৈরি হয় এই দুধ। ওজন কমাতে ওটস যে কতটা কার্যকরী তা সকলেই জানেন। সেই সঙ্গে এই দুধ কিন্তু বানিয়ে নিতে পারবেন বাড়িতেই। এই দুধে থাকে না কোনও ক্যালোরি। সেই সঙ্গে নেই ফ্যাটও। আছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি আর ডায়েটারি ফাইবার।

প্রতিদিন একবাটি করে ওটস খেতে পারলে শরীর থাকবে ভাল। হজমেও কোনও অসুবিধে হবে না। সাধারণত হোল গ্রেইন ওটস বা স্টিল কাট ওটস দিয়ে তৈরি করা হয়। এক কাপ ওট মিল্কে থাকে ১৩০ ক্যালোরি, ২.৫ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৪ গ্রাম প্রোটিন, দৈনিক প্রয়োজনের ৩৫ শতাংশ ক্যালসিয়াম ও ২৫ শতাংশ ভিটামিন ডি।

ওট মিলের উপকারিতা

প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে: ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো উপকারী সব ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে এই দুধে। গরুর দুধের দ্বিগুণ ভিটামিন এ পাওয়া যায় এই দুধে।

কোলেস্টরল মুক্ত: যাদের রক্তে কোলেস্টরল বেশি তারা নিশ্চিন্তে এই দুধ খেতে পারেন। গরুর দুধের তুলনায় এতে কোলেস্টরল নেই বললেই চলে।

লো ফ্যাট দুধ: যারা ওজন কমাতে চান তারা সাধারণ গরুর দুধের বদলে ওট মিল্ক খান। এতে ফ্যাট একেবারেই নেই। সেই সঙ্গে খেতেও বেশ ভাল।

ক্যালসিয়ামের উৎস: গরুর দুধের তুলনায় বেশি ক্যালশিয়াম থাকে ওট মিল্কে। যাঁদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি রয়েছে তারাও কিন্তু এই দুধ সরাসরি খেতে পারেন। অনেক উপকার পাবেন।

ফাইবার থাকে বেশি: সাধারণ গরুর দুধ, সয়া মিল্ক এমনকি আমন্ড মিল্কের তুলনায় বেশি ফাইবার থাকে ওট মিল্কে। সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিংবা ব্রেকফাস্টের পর এই দুধ এক গ্লাস খেলে ভাল উপকার পাবেন।

যে ভাবে বানাবেন ওট মিল্ক

এক কাপ ওটস এক ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এবার ওর সঙ্গে তিন কাপ জল, তিন থেকে চারটে আংন্ড মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে খান।

আরও পড়ুন: Tibetan Dishes: মোমো-থুকপা ছাড়াও তিব্বতের এই খাবারগুলির স্বাদ অতুলনীয়! দেখুন ছবিতে