Food Trends: এই বছরের সবচেয়ে চর্চিত ৪ ফুড ট্রেন্ড যা হতে চলেছে…
Food Habits: লকডাউন আমাদের সকলকেই অনেক কিছু শিখিয়েছে। বদল এসেছে আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোতেও। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসেও দেখা দিয়েছে বড়সর পরিবর্তন। গ্লুটেন ফ্রি,. সুগার ফ্রি এবং উদ্ভিজ প্রোটিনের প্রচি ঝোঁক বেড়েছে
বিশ্বজুড়েই সকলে এখন ভীষণ রকম স্বাস্থ্য (Health Tips) সচেতন। কোভিড (COVID-19) পরবর্তী কালে অনেকটাই বেড়েছে এই প্রবণতা। কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলেই যেমন সচেতন হয়েছেন তেমনই কিন্তু হাইজিন ( Health and Hygiene) বিষয়েও মানুষ এখন অনেকটাই সতর্ক। সুন্দর, সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য যে নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে এই সারমর্ম কিন্তু সকলেই বুঝেছেন। আর তাই নিয়ম মেনে খাওয়া, সময়ে খাওয়া, চিনি বাদ দেওয়া, রোজ শরীরচর্চা এসব আগের তুলনায় এখন অনেকটাই বেড়েছে। কোভিডে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে সকলেই রন্ধন পটিয়সী হয়ে উঠেছেন। বাড়িতেই চাইনিজ থেকে কন্টিনেন্টাল সবই বানিয়ে ফেলছেন। বেড়েছে হোম বেকারের সংখ্যাও। এমনকী অনেকেই বাড়িতে হরেক কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি, চকোলেট বানিয়ে তা বিক্রিও করছেন। বিশ্বব্যাপী বেড়েছে এই বেকারি দ্রব্যের চাহিদাও। লকডাউনে যে আর্থিক মন্দা এসেছিল তা যেন খাদ্য শিল্পের মাধ্যমেই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ২০২১-২০২৬ সালের মধ্যে CAGR- বৃদ্ধি পাবে ২.৬ শতাংশ পর্যন্ত।
সম্প্রতি এই খাবারের ট্রেন্ড নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, লোকজন প্রাণীজ প্রোটিনের চাইতে উদ্ভিজ প্রোটিনের দিকে অনেক বেশি ঝুঁকেছেন। সেই সঙ্গে ভেষজ খাবারের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিনে বিশ্বব্যাপী খাবারের ব্র্যান্ডগুলিও উদ্ভিজ প্রোটিনকে বেশি গুরুত্ব দেবে, এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
ফুড ব্লগিং
কোভিড আমাদের সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। বাস্তবটা আমাদের চিনতে শিখিয়েছে। লকডাউনে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ কমেছে। কিন্তু কেউ ঘরে বসে থাকতে নারাজ। সকলেই নিজের মত করে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করছেন। সেখান থেকেই কিন্তু ফুড ব্লগিং এখন বেশ জনপ্রিয়। খেতে আর খাওয়াতে কে না ভালবাসে। আজকাল সকলেই নানা রকম রান্না করতে পারেন। সেই সব রান্নার ছবিতেই ভরেছে ইন্সটাগ্রামের ওয়াল। যে কোনও বেকিং আইটেমের চাহিদাই কিন্তু সবথেকে বেশি।
শুধু পেট ভরানো নয় উপকারিতাও চাই
খাবার খেলে কিদে মেটে। শরীর যথাযথ পুষ্টি পায়। কিন্তু এখন সকলে এমন খাবারের খোঁজ করছেন যাতে খিদেও মিটবে আর শরীর পুষ্টি পাবে। সেখান থেকেই কিন্তু ওটস, কুইনোয়া, চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্সসিডসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অনেকেই আটার সঙ্গে মিশিয়ে নিচ্ছেন ওটস বা আমন্ডের গুঁড়ো। ওটস, ফল, দুধ, চিয়াসিডস দিয়ে স্মুদি খাবার ঝোঁক বেড়েছে আগের তুলনায় অনেকখানি।
স্থানীয় খাবেরের প্রতি ঝোঁক
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনেকেই বিদেশি খাবার, ফল, শস্যদানা এসব পছন্দ করতেন। কিন্তু লকডাউন পরবর্তী সময়ে সকলেই মজেছেন দেশি খাবারে। অঞ্চলভেদে যে সব ফল, সবজি পাওয়া যায়, সারা বছর বাজারে পাওয়া যায় এমন সবজির দিকেই ঝোঁক বেশি। শাক খাবার প্রবণতাও বেড়েছে আগের থেকে।
চিনি না
চিনি আমাদের শরীরের জন্য খুব খারাপ। অনেকেই চিনি খান না। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা একচামচ চিনি ছাড়া বাঁচতেই পারেন না। কিন্তু সুস্থ থাকতে চিনি ছাড়তেই হবে। আর তাই ব্যবহার বেড়েছে চিনির সাবস্টিটিউটের। গুড়, জাগেরি পাউডার, স্টেভিয়া এসবই এখন বেশি লোকেরা ব্যবহার করছেন।