ভালবাসা শব্দে জাহির করা একটু কঠিন। তাই তো সেই ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে গোলাপকে ব্যবহার করা হয়ে আসছে ভালবাসার প্রতীক হিসাবে। আজ থেকে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের (Valentine’s Week) শুরু। আজ রোজ ডে (Rose Day), অর্থাৎ গোলাপ দিবস। আপনি এই সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্য বলতেই পারেন, কিন্তু ভারতে একটা কথা বেশ প্রচলিত রয়েছে- মনের রাস্তা পেট দিয়ে যায়। অর্থাৎ তুমি যদি ভাল রেঁধে খাওয়াও তাহলে ক্রাশ তোমার প্রেমে পড়লেও পড়তে পারে। আজ যেহেতু রোজ ডে তাই পাশ্চাত্য আর দেশীয় সংস্কৃতিকে একসঙ্গে যুক্ত করে আপনি এমন কিছু খাবার তৈরি করতে পারেন, যেটা খেয়ে সবাই শুধু আপনারই প্রেমে পড়বে। ভাবছেন কী রাঁধবেন? আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি কেসর-গোলাপের ফিরনি (Phirni)।
যদি পিছনে ফিরে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে, সেই প্রাচীনকাল থেকে গোলাপকে খাদ্যে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। গোলাপ যেহেতু সুগন্ধি ফুল, তাই এটি ব্যবহার করার পদ্ধতিও আলাদা। যদিও এর গন্ধ ও স্বাদের জন্যই এর এত জনপ্রিয়তা। মুঘলাই খাবারে গোলাপ জল ব্যবহার করা হয় স্বাদের জন্য। অন্যদিকে, বহু কন্টিনেন্টাল খাবারে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করা হয় সাজানোর জন্য। এই ফিরনি তৈরিতে আমরা ব্যবহার করব গোলাপের শুকনো পাপড়ি। এতে স্বাদ ও সাজানো দুটোই হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের এই স্পেশ্যাল রেসিপি…
উপকরণ-
১০০ গ্রাম চাল গুঁড়ো, ১ লিটার দুধ (ক্রিম যুক্ত), ১/৪ কাপ চিনি, ১/৪ চামচ এলাচ গুঁড়ো, ২ চামচ জাফরন (আগে থেকে দুধে ভিজিয়ে রাখবেন), কিছু পেস্তা (কেটে রাখবেন) আর ১৫-২০টা শুকনো গোলাপের পাপড়ি।
পদ্ধতি-
প্রথমে ভাল করে দুধ ফুটিয়ে নিতে হবে। অল্প আঁচে অনেকক্ষণ ধরে দুধ জাল দিতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন গ্যাসের আঁচ যেন না বাড়ে। দুধ জাল দেওয়ার সময় বারবার বড় একটা চামচ দিয়ে নাড়িয়ে নেবেন। কোনওভাবেই যেন দুধ পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দুধ জাল দিয়ে প্রায় ক্ষীরের মতো হয়ে এলে তার মধ্যে সামান্য জল আর চালের গুঁড়ো দিয়ে আবার নাড়াতে থাকুন। যাতে কোনও লাম্প বা ডেলা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। এবার এই মিশ্রণ আবার ফুটিয়ে নিন।
ক্রমশ যখন মিশ্রণ গাঢ় বা ঘন হয়ে আসবে, তখন আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর আরও খানিকক্ষণ নাড়িয়ে নিয়ে ওই মিশ্রণে এলাচ গুঁড়ো আর শুকনো গোলাপের পাপড়িগুলো যোগ করুন। তার সঙ্গে দিন জাফরন ভেজানো দুধটা ঢেলে দিন। এবার আরও একবার ভাল করে নাড়িয়ে গ্যাস থেকে মিশ্রণ নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে তারপর চিনি মিশিয়ে নিন। যাঁরা চিনি এড়িয়ে যেতে চান, তাঁরা লো-ক্যালোরি সুইটনার দিতে পারেন। এবার আলাদা আলাদা বাটিতে ওই মিশ্রণ ঢেলে নিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন পেস্তা। তারপর ঘণ্টা দুয়েক ফ্রিজে রেখে, তারপর পরিবেশন করুন কেসর-গোলাপের ফিরনি।
আরও পড়ুন: নিম বেগুন ভাজা দিয়ে উধাও হতে পারে এক থালা গরম ভাত! রেসিপি জানা আছে তো?