AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

খাবার পর গ্রিন টি নয়, খান ‘সুপার ম্যাজিক’ রাইস টি! বাড়িতে কীভাবে বানাবেন, জানুন

মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডের মহিলারা ভাতের চা বানাতে অভ্যস্ত। আর সেই গ্রহণের জন্য এখন আর পূর্ব-ভারতে পারি দিতে হবে না। হাতের কাছেই রাইস চা বানানোর সব রসদ মজুত রয়েছে।

খাবার পর গ্রিন টি নয়, খান 'সুপার ম্যাজিক' রাইস টি! বাড়িতে কীভাবে বানাবেন, জানুন
রাইস টি
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2021 | 4:17 PM
Share

অনেকে নামটাই হয়তো শুনে থাকবেন, আবার অনেকে রাইস চা, এমন যে চা হতে পারে,তা এই প্রথম শুনছেন। তবে এটি কোনও নতুন পদ্ধতি বা নতুন চায়ের রেসিপি নয়। অত্যন্ত হালকা ও স্বচ্ছ পানীয় বলতে, যেটি চটচটে কালো চাল বা রেড রাইস থেকে তৈরি করা হয়। মেঘালয়ে একে চা-কু (Cha-Koo)বলা হয়, স্থানীয়রা চা মানে চা-কেউ বোঝায়, আর কু-হল ভাত। জাপাতে এই চা ব্রাউন রাইস দিয়ে বানানো হয় ও এই ধরনের চাকে সেখানে জেনমাইচা (“Genmaicha”) বলা হয়। গ্রিন টি ও রোস্টেড ব্রাউন রাইসের বিশেষ সংমিশ্রণে তৈরি চা-কে জেনমাইচা বলে। অসমে স্থানীয়রা খাবারের পর ও মিড-মিলে পানীয় হিসেবে একপ্রকার চা পান করে থাকেন. যা পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডের মহিলারা ভাতের চা বানাতে অভ্যস্ত। আর সেই গ্রহণের জন্য এখন আর পূর্ব-ভারতে পারি দিতে হবে না। হাতের কাছেই রাইস চা বানানোর সব রসদ মজুত রয়েছে। তাই পদ্ধতিটি জেনে নিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন স্বাস্থ্যকর এই পানীয়।

ইতিহাস

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটিশরা প্রথম এই চায়ের পদ্ধতি প্রচলন করেছিলেন। শিলং থেকে ৪ কিমি দক্ষিণে লাকসিন ব্লকের একটি গ্রামে চা-কু প্রচলিত ছিল। সেই চা-কুর প্রচলন ধীরে ধীরে শহুরে জায়গাতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি রাইস চা- নিয়ে বিশেষ চর্চা শুরু হয়েছে। পূর্ব ভারতে এই চায়ের জনপ্রিয়তা থাকলেও আগে মানুষ এই সুস্বাদু চা নিয়ে বিশেষ কিছু জানতেন না। অনেকের মতে, এই সুস্বাদু ও তাজা পানীয়টির স্বাদ আংশিক চা ও আংশিক ব্ল্যাক কফির মতোন।

বাড়িতে কীভাবে বানাবেন?

৪ কাপ রাইস টির জন্য দরকার ১ টেবিল স্পুন চটচটে ব্ল্যাক রাইস বা রেড রাইস। একটি প্যানের মধ্যে এই ব্ল্যাক বা রেড রাইস দিয়ে ২-৩ মিনিট রোস্ট করেনিন। এবার রোস্টেড চাল জলের মধ্যে ৩-৫ মিনিট ফোটাতে দিন। লিকার তৈরি হয়ে গেলে ছেঁকে সুনদর কাপে গরম গরম পরিবেশন করুন। জাপান বা কোরিয়াতে এই চায়ের সঙ্গে অর্গ্যানিক গ্রিন টি মিশিয়ে পান করা হয়। বিদেশে এই চাকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে মানা হয়। এও মানা হয়, এই পানীয়ের জেরে পাচন ও হজম ক্ষমতা উন্নত হয়।

এই চা কখন খাবেন

সাদারণত, এই বিশেষ চায়ে কখনও চিনি মেশানো হয় না। যদি চায়ে চিনি না মিশিয়ে খেতে না পারেন, তাহলে জল ফোটার সময় এক চা চামচ চিনি দিয়ে দিতে পারেন। ডেসার্ট হিসেবে বা খাবারের পর এই চা পান করার নিয়ম। তাতে ভারী বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়া হলেও শরীরে হালকা অনুভব হতে পারে। শীতকালে কফির পরিবর্তে রাইস চা পান করতে পারেন। পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।

রাইস চায়ের গুণাবলী

এই চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাইস টি-তে কিছু পরিমাণ গ্রিন টি যোগ করলে তা আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। এই চায়ে থাকে সেলেনিয়াম নামে এক প্রকার যৌগ, যা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য, হরমোন ও মেটাবলিজমের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এছাড়া ত্বকের সুস্থতার জন্যও এই চা গ্রহণ করা যায়। এমনি যাঁদের চায়ের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা দিনে বহুবার চা খান। আর এই অভ্যাস যাঁদের আছে, তাঁদের জন্য এই ক্যাফেইন-হীন চা অত্যন্ত উপকারীও বটে।

আরও পড়ুন: Monsoon Recipe: বৃষ্টির দিনে সন্ধের আড্ডায় চায়ের সঙ্গে থাক মুচমুচে বাঁধাকপির পকোড়া