AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Beauty Tips: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক আলগা হচ্ছে? রোজকার রুটিনে ৩ বদল আনলেই পাবেন স্বস্তি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। যেমন - বলিরেখা, দাগ-ছোপ এবং ত্বক আলগা হয়ে যাওয়া। বর্তমানে এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাজারে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-এজিং পণ্য পাওয়া যায়।

Beauty Tips: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক আলগা হচ্ছে? রোজকার রুটিনে ৩ বদল আনলেই পাবেন স্বস্তি
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক আলগা হচ্ছে? রোজকার রুটিনে ৩ বদল আনলেই পাবেন স্বস্তিImage Credit source: Dimitri Otis/Stone/Getty Images
Follow Us:
| Updated on: Jul 06, 2025 | 4:15 PM

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। যেমন – বলিরেখা, দাগ-ছোপ এবং ত্বক আলগা হয়ে যাওয়া। বর্তমানে এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাজারে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-এজিং পণ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও, অনেকে নানা চিকিৎসার মাধ্যমে ত্বককে টানটান করে এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন ও ইলাস্টিন কমতে থাকে। যার ফলে ত্বক আলগা হতে শুরু করে। হাড় ও পেশির জন্য কোলাজেন অপরিহার্য। সেখানে কোলাজেন কমে গেলে ত্বকে ছাপ পড়ে।

শরীরে প্রাকৃতিক কোলাজেনের পরিমাণ কমতে শুরু করলে ত্বকের গভীর স্তরে কোলাজেনের স্বাভাবিক পরিমাণও কমে যায়। এর ফলে সেই ব্যক্তির ত্বকের স্তরের নীচে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয় এবং ত্বক আলগা হয়ে যেতে পারে। হেলথলাইনের মতে, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসও এর কারণ হতে পারে। তাছাড়াও, অকাল বলিরেখা একটি জিনগত কারণ হতে পারে। এছাড়াও, ধূমপান, ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শে আসা, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি এবং অত্যধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াও এর কারণ হতে পারে। অতএব, প্রথমে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন – মানসিক চাপ কমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা। এ ছাড়া কিছু ঘরোয়া প্রতিকার কাজে লাগালে ত্বক টানটান হতে পারে। এবং ত্বক আলগা হওয়া আটকায়।

জীবনে তিন বদল আনলেই ত্বক নিয়ে সমস্যায় স্বস্তি পাবেন, নিম্নে আলোচনা করা হল —

  1. খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে – সঠিক জীবনধারা মেনে চললে এই সকল সমস্যা এড়ানো যায়। এছাড়াও, খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ই এবং এ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করা উচিত। যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
  2. ঠিক মতো সানস্ক্রিন মাখতে হবে – সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই, নিজের ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুসারে প্রতিদিন বেশি SPF যুক্ত সানস্ক্রিন লাগান। সম্ভব হলে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে সরাসরি রোদে বের হবেন না। অতএব, আবহাওয়া যাই হোক না কেন, প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরী।
  3. ফেস মাস্ক – ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে থাকা কিছু জিনিস দিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করতে পারেন। শসার ফেস মাস্ক ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পেঁপে, অ্যালোভেরা, মুলতানি মাটি বা কলা দিয়েও ফেস মাস্ক তৈরি করতে পারেন। নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ত্বকে সরাসরি লাগানোর আগে প্রথমে একটি প্যাচ টেস্ট করা জরুরি। কারণ, তা হলে অ্যালার্জি হওয়া আটকানো যায়।