Calcium: দুধ খেলেই গ্যাসের সমস্যায় কাবু হন? ক্যালসিয়াম পাবেন অন্য যে সব খাবারে
ক্যালসিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস দুধ। কিন্তু দুধ খেলেই অনেকে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। তা হলে উপায়? যদি দুধ সহ্য না হয়, তা হলে বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে, যা খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে।
হাড় মজবুত করার জন্য শরীরে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত জরুরী। বয়স বাড়তে শুরু করলে শরীরে হাড়ের ক্ষয় হয়। আর সেই ক্ষয় পূরণের জন্য ক্যালসিয়াম (Calcium) সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস দুধ। কিন্তু দুধ খেলেই অনেকে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। তা হলে উপায়? যদি দুধ সহ্য না হয়, তা হলে বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে, যা খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। জানেন সেগুলি কী?
এক ঝলকে দেখে নিন দুধ না হজম হলে ক্যালসিয়াম পাবেন অন্য যে সকল খাবারে —
এই খবরটিও পড়ুন
- পনির – দুধ খেলে গ্যাস হলে তা এড়িয়ে যান। দুধ দিয়ে তৈরি পনির রাখুন পাতে। দৈনিক খাদ্যতালিকায় পনির রাখলে শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান মেটে।
- দই – পনির ছাড়া দুধ দিয়ে তৈরি দই রাখতে পারেন রোজকার ডায়েটে। দই খেলে শরীরে নানান উপকার হয়। চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। ত্বকও ভালো হয়। পাশাপাশি শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীতা মেটে।
- সবুজ শাকসবজি – রোজকার খাবার প্লেটে প্রচুর শাকসবজি রাখুন। সেখান থেকে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। পালংশাক, লাল শাক, ব্রকোলি ও অন্যান্য সবুজ শাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। সবুজ শাকসবজিতে ফাইবারও থাকে। তা হজম শক্তি বাড়ায় এবং হার্টও সুস্থ রাখে।
- টোফু – টোফু হল প্ল্যান্ট প্রোটিন। সয় মিল্ক থেকে তৈরি হয় এটি। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামও রয়েছে।
- ব্রকোলি – ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস ব্রকোলি। এক কাপ কাঁচা ব্রকোলিতে থাকে ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। আর রান্না করার পর তার সেই ব্রকোলিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া ব্রকোলিতে ভিটামিন সি ও ই, ফাইবার, পটাশিয়াম রয়েছে।
- বাদাম – আমন্ড বাদাম ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। আমন্ড স্বাস্থ্যকর। এটি দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট নয়। ফলে গ্যাসের সমস্যার সম্ভবনা নেই।
- বীজ – বিভিন্ন বীজেও রয়েছে ক্যালসিয়াম। তিল, সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে এই সকল বীজ খেতে পারেন।
- চিয়া সিড – ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর চিয়া সিড। যা হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতে সাহায্য করে। জলে ভিজিয়ে বা স্মুদির মধ্যে অল্প পরিমাণ চিয়া বীজ দিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন।