Soft Roti Making: রুটি কিছুতেই নরম হচ্ছে না? এই পদ্ধতিতে করে দেখবেন নাকি!
নরম তুলতুলে রুটি বানাতে এবং খেতে কে না চায় বলুন তো! কিন্তু উপায়? উপায় রয়েছে। আর সেই উপায় এতটাও কঠিন নয়।

কোনও ব্যক্তি যদি প্রথম রান্না করছেন, তার জন্য রুটি বানানো বেশ কঠিন হতে পারে। তবে রুটি এমন জিনিস, যা অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বানানোর পরও ভুল করেন। রুটি গোল তো দূর, অনেক সময় রুটি তৈরি হয়ে যায় শক্ত কাঠের মতো। নরম তুলতুলে রুটি বানাতে এবং খেতে কে না চায় বলুন তো! কিন্তু উপায়? উপায় রয়েছে। আর সেই উপায় এতটাও কঠিন নয়। অনেক মানুষ প্রধান খাদ্য হিসেবে রুটি খান। সেখানে যদি তা হয় পোড়া, শক্ত, তাতে তো বিরাট সমস্যা। নানা উপায় অবলম্বন করেও যদি রুটি নরম না বানাতে পারেন, তা হলে নিম্নে উল্লিখিত সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন।
জেনে নিন নরম রুটি বানানোর রেসিপি—
উপকরণ
- ৩ কাপ আটা (গোটা গমের আটা) – ৩৬০ গ্রাম
- ১ থেকে ১.২৫ কাপ জল (প্রয়োজন অনুসারে মেশতে থাকুন)
- ১ চা চামচ লবণ (স্বাদ অনুযায়ী)
- ১ থেকে ২ টেবিল চামচ তেল বা ঘি (ইচ্ছে অনুসারে)
নরম, তুলতুলে রুটি তৈরির প্রক্রিয়া
১. ময়দা মাখবেন কী ভাবে?
একটি বড় পাত্রে আটা নিন। যদি ময়দার রুটি করেন, তা হলে একটি চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিন। কারণ প্রচুরতাতে পরিমাণে ভুসি থাকে। এরপর এতে লবণ যোগ করুন। এরপর তেল বা ঘি দিয়ে অল্প পরিমাণে জল যোগ করুন এবং মেশানো শুরু করুন। ময়দা মাখার সময় ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে জল যোগ করুন। ময়দা মসৃণ, নরম এবং নমনীয় না হওয়া পর্যন্ত মাখাতে থাকুন। এটি অতিরিক্ত আঠালো, আলগা বা শক্ত হওয়া উচিত নয়। ময়দা ছোট থেকে মাঝারি আকারের বলে ভাগ করুন এবং মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত আপনার হাতের তালুর মধ্যে চাপ দিয়ে বল তৈরি করতে থাকুন। প্রতিটি বলকে সামান্য চ্যাপ্টা করে আটা দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। বিকল্প উপায় হিসেবে রোলিং বোর্ডে ময়দা ছিটিয়ে দিতে পারেন। যাতে তা বেলন চাকিতে চিপকে না যায়।
২. রুটি বেলা ও রান্না করার উপায়
বেলন চাকি দিয়ে ওই আটা বা ময়দার বল গোল ও পাতলা করে বেলে নিতে হবে। এরপর মাঝারি-উচ্চ আঁচে গ্যাস ওভেনে তাওয়া গরম করুন। তাওয়া গরম গোল করে বানানো রুটি রান্নার জন্য সেখানে দিন। একপাশ রান্না করুন যতক্ষণ না প্রায় এক চতুর্থাংশ রান্না হয়ে যায়। এরপর রুটি উল্টে দিন এবং অন্য দিকটি আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন যতক্ষণ না সেখানে বাদামি রং দেখা দেয়। চিমটা ব্যবহার করতে পারেন। সরাসরি খোলা আগুনের উপর রুটি মেলে ধরতে পারেন। দেখবেন রুটি ফুলে উঠতে শুরু করবে। আবার তা উল্টে দিতে হবে। যাতে অপর দিকটিও আরও ফুলে ওঠে। পুড়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত রান্না করে ফেলবেন না। বেশিক্ষণ আগুনে ধরে রাখলে রুটি শক্ত হয়ে যাবে। রুটি আগুন থেকে নামিয়ে ঘি বা তেল মাখিয়ে রাখলে দীর্ঘসময় নরম থাকবে। এই পদ্ধতিতে ফুলকো ও গরম গরম রুটি পরিবেশন করাই ভালো।
যদি এভাবে রুটি বানিয়ে গরম গরম খান, তা হলে তো সমস্যাই নেই। কিন্তু কেউ যদি রুটি বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে না খায়, তা হলে সেটি একটি ক্যাসেরোল বা রুটির ঝুড়িতে রাখুতে পারেন। সতেজতা বজায় রাখার জন্য একটি পরিষ্কার রান্নাঘরের তোয়ালেতে বা ন্যাপকিনেও রুটি মুড়ে রাখতে পারেন।
