Geyser use Tips: শীতকালে গিজার ব্যবহারের আগে যে জিনিস মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শীতের শুরুতে গিজার চালানোর আগে কিছু প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও সার্ভিসিংয়ের কাজ করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একটু অসাবধানতা বড়সড় বিপদ, এমনকি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারে। এ বার শীত পড়ার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন।

শীতকালে ঠান্ডা জল যাতে না ছুতে হয়, তাই গিজার (Geyser) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এক অপরিহার্য যন্ত্র। গরম জলের আরামদায়ক স্নান দিনের শুরুটা সুন্দর করে তোলে। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শীতের শুরুতে গিজার চালানোর আগে কিছু প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও সার্ভিসিংয়ের কাজ করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একটু অসাবধানতা বড়সড় বিপদ, এমনকি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারে।
শীতের শুরুতেই গিজারকে দীর্ঘস্থায়ী এবং সুরক্ষিত রাখতে এই প্রস্তুতিগুলি নিন:-
১. পেশাদার সার্ভিসিং মাস্ট: দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার পর গিজারের ভেতরের হিটিং এলিমেন্ট এ মরচে বা ক্যালসিয়ামের আস্তরণ (স্কেলিং) জমতে পারে। এর ফলে জল গরম হতে বেশি সময় লাগে এবং বিদ্যুতের বিল বাড়ে। শীত শুরুর আগেই অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দিয়ে নিয়মিত সার্ভিসিং করিয়ে নিন।
২. জল ছাড়া অন করবেন না: গিজারে জল ভর্তি না করে কখনওই সুইচ অন করবেন না। এতে হিটিং এলিমেন্ট অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনকি বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
৩. ওয়্যারিং এবং সকেট পরীক্ষা: গিজার একটি উচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী যন্ত্র। সংযোগকারী তার বা সকেট পুরোনো বা ত্রুটিপূর্ণ হলে শর্ট সার্কিট বা শক লাগার ঝুঁকি থাকে। ভাল মানের আর্থিং আছে কি না এবং তারগুলি সুরক্ষিত আছে কি না, তা পরীক্ষা করা জরুরি।
৪. থার্মোস্ট্যাট সেটিং যাচাই: গিজারের তাপমাত্রা সব সময় সর্বাধিক পর্যায়ে রাখার দরকার নেই। ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (প্রায় ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার কাছাকাছি তাপমাত্রা সেট করুন। এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে এবং অতিরিক্ত গরম জল থেকে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাবে। যদি গিজারে অটো-কাট অপশন না থাকে, তবে সঠিক থার্মোস্ট্যাট কাজ করছে কি না, তা দেখে নিন।
৫. সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন: গ্যাস গিজারের ক্ষেত্রে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস তৈরি করতে পারে। এমনকি বৈদ্যুতিক গিজার বা বাথরুমে লাগানো যেকোনও গিজারের ক্ষেত্রে স্নানের সময় এক্সজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন।
৬. ব্যবহারের আগে বন্ধ করুন: স্নান করার সময় কখনোই গিজারের সুইচ অন রাখবেন না। জল গরম হয়ে গেলে পাওয়ার পয়েন্ট থেকে বন্ধ করুন। তারপর স্নান শুরু করুন। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং বিদ্যুৎ সংযোগে কোনও সমস্যা হলেও শক লাগার ঝুঁকি কমবে।
৭. জলের চাপ পরীক্ষা: গিজারে একটি প্রেসার রিলিজ ভালভ থাকে। এটি ত্রুটিপূর্ণ হলে ট্যাঙ্কের ভিতরে বিপজ্জনক চাপ তৈরি হতে পারে। এই ভালভটি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।
৮. লিক হচ্ছে কি না দেখুন: গিজারের কোনও অংশ দিয়ে জল লিক করছে কি না, তা সাবধানে পরীক্ষা করুন। সামান্য লিক হলেও বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
