রাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎই নিচের ঘরে দুম আওয়াজে ঘুম ভাঙল। কিছু না ভেবেই ছুট্টে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ই ধারালো অস্ত্র হাতে সামনে হাজির আততায়ী! ব্যস, নিজেকে বাঁচাবেন নাকি ধন-সম্পদ! সম্প্রতি এমনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। সইফ আলি খানের মতো সুপারস্টারের বাড়ির নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কীভাবে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়ে এমন কাণ্ড ঘটালো, তা নিয়ে নানামহলে এখন বিস্তর আলেচনা। সইফের বাড়িতেই যদি এমন ঘটে, তাহলে আমার-আপনার বাড়িতে তো ঘটতেই পারে। আপনার বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে কি এবার একটু ভাবা দরকার? টেনশন নেই। রয়েছে বেশ কিছু মুশকিল আসান টিপস।
প্রথমেই নিজের হাতে, বাড়ির একটা ছক বানিয়ে ফেলুন। কাগজে এঁকে ফেলুন মোটামুটি একটা নকশা। আর সেক্ষেত্রে মাথায় রাখুন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার ছাড়াও আর কোথা থেকে যে কেউ ঢুকতে পারে বিনা বাধায়।
নকশা তৈরি হয়ে গেলে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে ফেলুন, কমবেশি দুর্বল জায়গাগুলোকে। যেমন, ছাদের ঘরের দরজা, বারান্দার গ্রিল, কিংবা ঝুল বারান্দা। এবার এসব জায়গায় নিরাপত্তাকে কঠোর করার জন্য প্রথমেই বসিয়ে ফেলুন সিসিটিভি। অনলাইন বা বাজারে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই সিসিটিভি। যা কিনা আপনার মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, এই ক্যামেরায় ওঠা ছবি সহজেই ফুটে উঠবে আপনার মোবাইল স্ক্রিনে। সুতরাং, সর্বদাই আপনার নজরের সামনে থাকবে আপনার বাড়ির ছাদ, ঝুল বারান্দা।
এবার আসা যাক মূল প্রবেশদ্বারে। এক্ষেত্রেও সিসিটিভি দারুণ কাজ করবে। কিন্তু নিশ্চয়ই ভাবছেন, রাতবিরেতে ঘুমের মধ্যে যদি আততায়ী এসে হাজির হয়, তাহলে সিসিটিভির কাজ কি? বাজারে এমন কিছু সিসিটিভি রয়েছে, যা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে ক্যামেরার সামনে আসা বস্তুকে চিহ্নিত করে। আর সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সুতরাং এক্ষেত্রে অ্যালার্ট হওয়ার সুযোগ থাকে।
আজকাল অনেকেই বাড়িতে গ্রিল ছাড়া জানালা ব্যবহার করেন। এটা কিন্তু খুব একটা নিরাপদ নয়। তাই জানালায় গ্রিল লাগিয়ে ফেলুন সবার আগে। প্রয়োজনে জানালার লকগুলোকে ঠিকঠাক দেখে নিন।
তবে শুধুই প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেই হল না। নিজেকেও এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য তৈরি করুন।
যদি রাতবিরেতে অন্দরমহলে আওয়াজ পান, তাহলে দুম করেই নিজে এগিয়ে যাবেন না। বরং মোবাইল ফোনের সাহায্যে বাড়ির অন্য ঘরে থাকা সদস্যদের বিষয়টা জানান। প্রয়োজনে প্রতিবেশিদেরও জানাতে পারেন। যদি প্রয়োজন হয়, পুলিশের সঙ্গেও আগে থেকে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে আর যাই হোক, একা খালি হাতে এগিয়ে যাবেন না।