ভূস্বর্গের পর্যটনকে (Tourism) চাঙ্গা করতে এবার এগিয়ে এল ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পর্যটনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য, কাশ্মীরের ডোডা জেলার ভাদেরওয়াহে তিন দিনব্যাপী স্নো স্পোর্টস উৎসবের আয়োজন করেছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে এই স্নো কার্নিভাল।
গত সাত বছরের সব রেকর্ড পিছনে ফেলে ২০২১-এ সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় করে ছিলেন কাশ্মীর উপত্যকায়। এরপর দেশ জুড়ে থাবা বসায় করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে কাশ্মীরের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে পর্যটকদের আনাগোনা এখনও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। তাই ভূস্বর্গের মহামারী-প্রভাবিত পর্যটন শিল্পকে বাড়িয়ে তুলতে এই স্নো কার্নিভালের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিট।
তবে এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র কাশ্মীরের ডোডা জেলার ভাদেরওয়াহে আয়োজিত করা হয়েছে। ভাদেরওয়াহকে আপনি কাশ্মীরের অফবিট ডেস্টিনেশনও বলতে পারেন। অনেকেই জানেন না যে উপত্যকার এই অঞ্চল ‘মিনি কাশ্মীর’ নামেও পরিচিত। ভাদেরওয়াহ থেকেও আপনি হিমালয়ের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
তিন দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে স্কিইং, স্নো স্লেজিং এবং স্নোবোর্ডিং সহ বেশ কয়েকটি স্নো স্পোর্টসের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে থান্থেরা, জায়ে ভ্যালি, সার্টিঙ্গল এবং পাদ্রিতে স্নোম্যান তৈরির প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ভাদেরওয়াহ-এর একটি ব্যান্ডের লাইভ পারফরম্যান্স থাকবে এখানে। তাছাড়া একটি ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হবে এই কার্নিভালে।
পিটিআই’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ভাদেরওয়াহের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রাকেশ কুমার জানিয়েছেন যে, এই সময়ে স্নো কার্নিভাল আয়োজনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল ভাদেরওয়াহ উপত্যকার পর্যটনকে চাঙ্গা করা, যা করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখানে পর্যটন শিল্পই স্থানীয়দের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তাই এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প উন্নত হলে এখানের মানুষের জীবনযাত্রাও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে এই উৎসবটি এই অঞ্চলের যুবকদের তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করবে। উপত্যকার স্থানীয়রাও এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় বেশ খুশি বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এই উদ্যোগের জন্য সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, জেলা উন্নয়ন পরিষদ (ডিডিসি) সদস্য, ভাদেরওয়াহ পশ্চিম, যুধবীর ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন যে এই উৎসব কেবল পর্যটন শিল্পকেই উৎসাহিত করার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগই প্রদান করবে না, বরং এর পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: কোভিড বিধি তুলে পর্যটকদের জন্য খোলা সিকিম! খুশির হাওয়া ব্যবসায়ী মহলে
আরও পড়ুন: লাভ ইজ় ইন দ্য এয়ার! এবার সঙ্গীর সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত কাটান প্রাইভেট বিমানে