Darjeeling: গরমে দার্জিলিং বেড়াতে যাচ্ছেন? সাইট সিনে একবেলা ঢুঁ মারুন মৌমাছিদের গ্রামে
Offbeat Destinations: ৫০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামে আপনি গরমের ছুটি কাটাতে পারেন। শৈলশহর থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এই মৌমাছিদের গ্রাম।
দার্জিলিঙের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা পাহাড়ি গ্রামগুলো অফবিট স্পট হয়ে উঠেছে। শুধু দার্জিলিং নয়, এই তালিকাতে কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং সিকিমের পাহাড়ি গ্রামগুলোও রয়েছে। আর এভাবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাহাড়ের ‘গাঁও’ গুলো। সিলারি গাঁও, ইচ্ছে গাঁও-এর মতো পাহাড়ি গ্রামের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। আবার অনেকের ঘোরাও হয়ে গিয়েছে এই জায়গাগুলো। এবার গরমে চলুন বিইস (Bees) গাঁও’তে। মৌমাছিদের গ্রাম।
ঘন পাইন বনের অবস্থিত এই বিইস গাঁও দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তাকদার খুব কাছেই অবস্থিত এই গ্রাম। দেখার মধ্যে এই গ্রামের এখানে রয়েছে একটি কাঠের বাংলো। ৫০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামে আপনি গরমের ছুটি কাটাতে পারেন। এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে আপনি আশেপাশের নার্সারিগুলো হাঁটা পথে ঘুরে দেখতে পারেন।
মৌমাছি গাঁওকে ঘিরে পাইন বনই এখানকার মূল আকর্ষণ। লামাহাট্টা এবং তিনচুলের মধ্য দিয়ে আপনি হেঁটে ঘুরে দেখতে পারেন এই বিইস গাঁও। এছাড়াও ঘুরে দেখতে পারেন এখানকার চা বাগান, স্থানীয় মনেস্ট্রি, চার্চ এবং তিব্বতীয় মেডিসিন স্কুলগুলো। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাবেন তিস্তা আর কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবির মতো দৃশ্য।
যেহেতু বিইস গাঁও দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটারের পথ, তাই শৈলশহর ঘোরার সঙ্গে আপনি এই গ্রামও ঘুরে নিতে পারেন। এই গ্রাম থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে গেলেই পেয়ে যাবেন সবুজে ঘেরা চা বাগান। আর মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে বড় মাংওয়া এবং ছোট মাংওয়া। যাঁরা ভ্রমণ কাহিনি দিয়ে ইনস্টাগ্রাম সাজাতে চান, যাঁরা ছবি তুলতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য অনবদ্য এই পাহাড়ি গ্রামে।
বিইস গাঁও গেলেই আপনি কিছু বিরল প্রজাতির প্রজাপতি এবং হিমালয়ান পাখিদের দেখা পাবেন। ঘন জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে একটি বাঁশের সেতু। সেটি পেরিয়ে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন বিইস গাঁও। তবে, এই বিইস গাঁওতে গেলেই যে মৌমাছির দেখা পাওয়া যাবে, তার কোনও মানে নেই।
বিইস গাঁও গেলে আপনি রাত কাটাতে পারেন এখানকার ব্রিটিশ বাংলোতে। যদিও আপনি দার্জিলিং বা অন্য কোনও পাহাড়ি গ্রামে রাত কাটিয়েও ঘুরে আসতে পারেন বিইস গাঁও। ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে আপনি এখানে থাকার জন্য হোমস্টে পেয়ে যাবেন। আর বছরের যে কোনও সময় আপনি এখানে ঘুরতে যেতে পারেন।