শীতের মরসুম বলে কথা, তুষারপাত হবে এমনটাই স্বাভাবিক। চলতি মাসের শুরুতেই দেখা গিয়েছিল বরফে ঢাকা পড়েছে হিমাচল প্রদেশের একাধিক অংশ। এবার গত সপ্তাহে তুষারপাত হল মানালিতে। আর তাতেই খুশি পর্যটকদের শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শীতে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান মানালি। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ভাঁটা এসেছিল পর্যটন শিল্পে। কিন্তু এই বছর এই তুষারপাত হাসি এনেছে পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার (১৭.১২.২০২১) ভারী তুষারপাত হয় মানালিতে। মানালির ম্যাল ভরে যায় বরফে। তারই মধ্যে আনন্দে মেতে ওঠে সবাই।
দেখুন মানালির তুষারপাতের দৃশ্য,
চলতি মাসের ৬ ডিসেম্বরও তুষারপাতে ঢাকা পড়েছিল উত্তর ভারতের তিনটি রাজ্য। হিমাচল প্রদেশের সিমলায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়ে ছিল সেইদিন। সিমলা থেকে ৯ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত কুফরি নারকান্দা ঢেকে গিয়েছিল সাদা বরফের চাদরে। কিন্তু মানালিতে যে তুষারপাত হয়েছিল তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার আর পর্যটকদের নিরাশ করল না হিমাচল প্রদেশ। শেষ অবধি মানালিও ঢাকা পড়ল বরফে।
তুষারপাতের সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যে লাহুল উপত্যকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। আর এই কারণেই চিন্তা বেড়েছে হোটেল মালিকদের শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ক্রিসমাসের আগে এত ঠাণ্ডায় পর্যটকরা আসবেন কিনা এই চিন্তা ঘিরে ধরেছে অনেকেই। কিন্তু এর পাশাপাশি সিমলাতেও এখন পর্যটকদের ভিড়। তবে আনন্দের বিষয়ও রয়েছে এরই মধ্যে। প্রায় কয়েক বছর পর ‘সাদা ক্রিসমাস’ উৎযাপন করতে চলেছে সিমলাবাসী।
দেখুন সেই তুষারাবৃত সিমলা,
তবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসেও হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় ভারী বর্ষণ ও তুষারপাত হয়েছিল। তবে সেটা মরসুম ছিল না। তাকে অকাল বর্ষণ বলা চলে। ওই দুর্যোগের চলতে রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। তারপর পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায়, হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাস সহ একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের জন্য। এবং জানানো হয়েছে ২০২২ এর এপ্রিলের আগে তা আর খুলছে না।
আরও পড়ুন: অ্যাডভেঞ্চার আপনার নেশা? নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বেড়িয়ে পড়ুন ট্রেকে
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডেও রয়েছে সবুজে মোড়া এক সুইজারল্যান্ড! জেনে নিন সেই পাহাড়ি শহরের ঠিকানা