Kolkata Metro: পিচবোর্ডের তৈরি প্রিন্টেড কার্ড দিয়ে যাত্রা শুরু, টিকিটের বিবর্তন নিয়ে প্রদর্শনীর পরিকল্পনা মেট্রোর
Kolkata Metro tickets: প্রায় চার দশকের এই বিবর্তন কলকাতাবাসীর কাছে তুলে ধরতে চায় মেট্রোরেল। তাই বিভিন্ন ব্যস্ত স্টেশনে টিকিটের বিবর্তন নিয়ে প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করছে কলকাতা মেট্রো।
মেট্রো স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাউন্টারে লাইন দেওয়া, স্মার্ট কার্ড রিচার্জ় করানো—সব ঝক্কির দিন এবার শেষ। ঘরে বসেই এবার আপনি মেট্রোর টিকিট কেটে নিতে পারবেন। কিউ আর কোড স্ক্যান করেই উঠে পড়তে পারবেন মেট্রোয়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত ব্লু লাইনেও দ্রুত চালু হবে এই কিউ আর কোড পরিষেবা। কলকাতা মেট্রো রেলের এই নিয়ে প্রায় পাঁচ ধরনের ‘টিকেটিং সিস্টেম’-এর বিবর্তন দেখল শহরবাসী।
১৯৮৪ সালে প্রিন্টেড কার্ড টিকিট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল কলকাতা মেট্রো রেল। সেখান থেকে আজ ২০২৩-এ এসে মেট্রোরেল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাটা যাবে মেট্রোর টিকিট। এই ৩৯ বছর টিকিট কাটার পদ্ধতিতে নানা বদল এসেছে। এবার সেই বদলই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরবে কলকাতা মেট্রো রেল।
দেশের প্রথম মেট্রো রেল চালু হয় কলকাতাতেই। ১৯৮৪-তে পিচবোর্ডের তৈরি প্রিন্টেড কার্ড টিকিট দেওয়া হত। প্রায় ১২ বছর এই টিকিটে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ১৯৯৬ সালে শুরু হয় ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট ও টার্নস্টাইল গেট। টিকিট কাটার এই নিয়ম চলে ২০১১ পর্যন্ত। ২০১১-তে শুরু হয় টোকেন ও স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা। এখনও মেট্রো রেলে চড়লে আপনি টোকেন কেটে উঠতে পারেন ট্রেনে। তার সঙ্গে রয়েছে কুইক রেসপন্স কোড (QR Code)। এই সুবিধা চালু হয়েছে ২০২১ সালে। আর ২০২২ থেকে এসে গিয়েছে মেট্রো রেল অ্যাপ। দেশের অন্য কোনও মেট্রোয় টিকিটের এত বিবর্তন হয়নি।
১৯৯৬ সালে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট শুরু হয়। যদিও এর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল ১৯৯০ সালে। তখন থেকেই মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের জন্য টার্নস্টাইল গেট বসানোর কাজ শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের মধ্যে কলকাতার সব মেট্রোর প্ল্যাটফর্মেই টার্নস্টাইল গেট বসে যায়। তারপর থেকেই শুরু হয় ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট। এই টিকিটের এক দিক রঙিন। আর উল্টো দিকের সাদা অংশে চৌম্বক স্ট্রিপ বসানো। এই টিকিট এই টার্নস্টাইল গেটে ‘পাঞ্চ’ করলেই ঢুকে পড়া যেত প্ল্যাটফর্মে। এই পদ্ধতি ২০১১ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর ধরে জারি ছিল। এই ১৫ বছরে কলকাতা মেট্রোর যাত্রীসংখ্যাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল।
২০১১-এ টিকিট হিসেবে এল টোকেন, স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা। টার্নস্টাইল গেটের বদলে স্টেশনগুলিতে বসল অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন গেট। এই পরিষেবা এখনও জারি রয়েছে কলকাতার মেট্রো রেলে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুইক রেসপন্স কোড। অর্থাৎ টোকেন কাটা কিংবা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ়ের ঝামেলা আর নেই। এই পরিষেবা চালু হয় করোনা পরিস্থিতির পর ২০২১ সালে। বছর বদলানোর আগেই ২০২২-এ চলে আসে মেট্রো রাইড অ্যাপ। আর ২০২৩-এ এসে এখন আপনি ঘরে বসেই টিকিট কেটে নিতে পারবেন।
প্রায় চার দশকের এই বিবর্তন কলকাতাবাসীর কাছে তুলে ধরতে চায় মেট্রোরেল। তাই বিভিন্ন ব্যস্ত স্টেশনে টিকিটের বিবর্তন নিয়ে প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করছে কলকাতা মেট্রো। কারণ এই ধরনের টিকিট দেখার সুযোগ যে ভারতের অন্য কোনও মেট্রো রেলে নেই। কবে দেখে এই প্রদর্শনী শুরু হবে, এবং কোন-কোন স্টেশনে এই প্রদর্শনী হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।