পর্যটকদের জন্য সুখবর! এই প্রথম খুলল ১১ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ভারতের ‘উচ্চতম’ হার্বাল পার্ক

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, উদ্যানটিতে প্রায় ৪০ প্রজাতির ভেষজ গাছ রয়েছে। তার মধ্যে সাধারণত ভারতীয় হিমালয় অঞ্চলের উচ্চ-পার্বত্য এলাকার অল্পাইন অঞ্চলে পাওয়া যায়।

পর্যটকদের জন্য সুখবর! এই প্রথম খুলল ১১ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ভারতের 'উচ্চতম' হার্বাল পার্ক
১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পার্কটি ভারত-চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত মানা গ্রামে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 9:07 AM

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানা এলাকায় ভারতের প্রথম সর্বোচ্চ উচ্চতায় হার্বাল পার্ক তৈরি হয়েছে। ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পার্কটি ভারত-চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত মানা গ্রামে উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রধান বন সংরক্ষক সঞ্জীব চতুর্বেদীর মতে, পার্কটি বিভিন্ন ঔষধি ও বিভিন্ন রকমের মশলা সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া বাস্তুতন্ত্রের উপর বিভিন্ন গবেষণার সুবিধাও রয়েছে।

রিপোর্ট অনুসারে, পার্কটি৩ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত, যা উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের গবেষণা শাখার মাধ্যমে মানা ভান পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষতিপূরণ বনায়ক তকহবিল ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ স্কিমের আওতায় এই পার্কটি গড়ে তুলতে প্রায় ৩ বছর সময় লেগেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, উদ্যানটিতে প্রায় ৪০ প্রজাতির ভেষজ গাছ রয়েছে। তার মধ্যে সাধারণত ভারতীয় হিমালয় অঞ্চলের উচ্চ-পার্বত্য এলাকার অল্পাইন অঞ্চলে পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, পার্কটিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাহে বদ্রীনাথের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রজাতির গাছ রয়েছে। তার মধ্যে যেমন তুলসী, বের, বদ্রী গাছ ও ভোজপত্রের পবিত্র গাছ। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে অষ্টবর্গ প্রজাতির গাছ। মানে আটটি ভেষজের একটি গোষ্ঠী, তার মধ্যে ঋদ্ধি (Habenaria Intermedia), জীবক (Malaxis Acuminata), বৃদ্ধি (Habenaria Edgeworthii), কাকোলি (Fritillaria Roylei), ঋষভক (Malaxis Muscifera), ময়দা (Ploygonatum Cirrhifolium), ক্ষীর কাকোলি (Lilium Polyphyllum) ও মহা মায়দা (Polygonatum Verticillatum)। এই সব ভেষজগুলি চবণপ্রাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মানা হয়। অন্যদিকে, তৃতীয় বিভাগে রয়েচে সসুরিয়া প্রজাতির ভেষজ গাছপালা।, তারমধ্যে ব্রহ্মকমল অন্যতম। উত্তরাখমণ্ডের প্রধান ফুল এটি। এছাড়া তৃতীয়ভাগে রয়েছে সসুরিয়া প্রজাতির মধ্যে নীলকমল, ফেমকমল, কুল গাছ।

চতুর্থভাগে রয়েছে মিঠাভিশ, আতিশ, চোরু ও ভানকদি-সহ বিভিন্ন ধরনের অল্পাইন প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ। যা সবই মহাষৈধি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এই সব ভেষজ উদ্ভিদগুলি চিকিত্‍সা বিজ্ঞানে ও আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সার জন্য এমন ভেষজগুলির চাহিদা বাড়ছে বলে দাবি করেছেন সঞ্জীব চতুর্বেদী।

আরও পড়ুন: Onam 2021: উত্‍সবে মেতেছে ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’! কোথায় পাবেন সেই আনন্দের অনুভূতি, দেখুন ছবিতে…