Offbeat Destinations: পুজোর ছুটি পাহাড়ি গ্রামে কাটাতে চান? রইল লো-বাজেট ডেস্টিনেশনের খোঁজ
Low Budget Destination: পুজো আর এক মাসও বাকি নেই। আর আপনি যদি এখনও প্ল্যান না করেন থাকেন, তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য।
বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। কয়েক দিনের ছুটি পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়তে ইচ্ছা যায়। আর সামনেই দুর্গা পুজো। মানে একটা লম্বা ছুটি। কিন্তু যেহেতু পুজোর সময় তাই পকেটের কথাও ভাবতে হবে। এই সুযোগে আপনি উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে আপনার বাজেটেও টান পড়বে না, পাশাপাশি পুজোর ছুটি পাহাড়ের কোলে কাটাতে পারবেন। পুজো আর এক মাসও বাকি নেই। আর আপনি যদি এখনও প্ল্যান না করেন থাকেন, তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য। কম খরচে কোথায় কোথায় যেতে পারবেন, রইল এমন ৪টি পাহাড়ি গ্রামের হদিশ।
তিমবুরে- উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন শ্রীখোলা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরত্বে তিমবুরে। তবে নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যায় তিমবুরে। ৬,৫৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রামে মূলত বাস নেপালিদের। নেপালি জনজীবনে কাছ থেকে দেখতে হলে দু’দিন কাটিয়ে আসতে পারেন তিমবুরে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শ্রীখোলা নদী। তিমবুরে রাত কাটানোর জন্যও রয়েছে বেশ কয়েকটি হোমস্টে এবং লজ।
তিনচুলে- পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ তিনচুলে। ৬,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থায় তিনচুলে দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তিনচুলের মূল আকর্ষণ হল অর্কিডের বাগান। এছাড়াও এই পাহাড়ি গ্রাম ঘেরা সবুজ চা বাগানে। তিনচুলেকে ঘিরে রয়েছে ছয়টি চা বাগান। এছাড়াও এই গ্রামে রয়েছে এক প্রাচীন মনেস্ট্রি। তিনচুলেতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোমস্টে পেয়ে যাবেন।
চারখোল- রেলি নদীর অববাহিকায় সামালবং অঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। চারদিক খোলা চারখোলে মূলত বাস লেপচাদের। প্রায় ৩,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চারখোলকে ঘিরে রয়েছে পাইন, সাইপ্রাস, ওক, শাক, গুরাস। আর এখান থেকে দেখা মেলে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার। নিউ জলপাইগুড়ি-সেবক-বাগরাকোট হয়ে চারখোল পৌঁছাতে গেলে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম কররে হবে। আর কালিম্পং থেকে চারখোলের দূরত্ব মাত্র ৩৪ কিলোমিটার। চারখোলে রাত কাটানোর জন্য এখানে অনেকগুলোই রিসর্ট, হোমস্টে রয়েছে।
রিকিসুম- রঙিন ফুলের মেলা আর পাইনে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ রিকিসুম। প্রায় ৬,৩০০ ফুট উচ্চতায় এই নিঝুমপুরে হিমেল হাওয়া আর মেঘেদের আনাগোনা লেগে থাকে। রিকিসুমে দাঁড়িয়ে ভুটান, তিব্বত, সিকিম, দার্জিলিং এবং নেপালের হিমালয়ের নামী-অনামী শৃঙ্গের প্যানোরমিক ভিউ দেখা যায়। এমন জায়গা থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার মতোই। আর হিমালয়ের পাখিদের যাতায়াত তো লেগেই রয়েছে এই রিকিসুমে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং, আলগাড়া হয়ে আপনাকে রিকিসুম পৌঁছাতে হবে। দূরত্ব পায় ৮৮ কিলোমিটার। রিকিসুমে থাকার জায়গা বলতে হাতেগোনা কয়েকটা হোমস্টে। তাই আগে থেকে বুকিং করে গেলে সুবিধা হবে।