Offbeat Destination: উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিট হাউসফুল, দক্ষিণবঙ্গের এই ৩ জায়গায় কাটাতে পারেন ক্রিসমাস
South Bengal Tourist Spot: উত্তরবঙ্গ না গিয়ে, দক্ষিণে বসেই কাটাতে পারেন ক্রিসমাস ও নতুন বছর। যাঁদের অতিরিক্ত ঠান্ডায় কষ্ট হয়, শীত খুব বেশি সহ্য হয় না, তাই পাহাড় এড়িয়ে চলেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের এসব পর্যটক কেন্দ্রগুলোকে বেছে নিতে পারে উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে।
বেনারস হোক বা নিউ জলপাইগুড়ি, ডিসেম্বরের শেষে কোথাও ট্রেনের কনফার্ম পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু বছর শেষে হাতে দু’দিনের বেশিই ছুটি রয়েছে। শীতের মরশুমে ঘরে বসে কাটাতে চান না কেউই। এই অবস্থায় কোথায় যাবেন? উত্তরবঙ্গ না গিয়ে, দক্ষিণে বসেই কাটাতে পারেন ক্রিসমাস ও নতুন বছর। যাঁদের অতিরিক্ত ঠান্ডায় কষ্ট হয়, শীত খুব বেশি সহ্য হয় না, তাই পাহাড় এড়িয়ে চলেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের এসব পর্যটক কেন্দ্রগুলোকে বেছে নিতে পারে উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে।
আগরহাটি: শীতকালে অনেকেই ভিড় করেন সুন্দরবনে। সুন্দরবন যেতে না চাইলে যেতে পারেন আগরহাটি। ক্যানিংয়ের খুব কাছেই অবস্থিত এই নতুন পর্যটন কেন্দ্র। বিদ্যাধরী, ইছামতি নদীর পাড়ে বসে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারেন আগরহাটিতে। এখানে থাকার জন্য ছোট-বড় একাধিক রিসোর্ট রয়েছে। রয়েছে মাছ ধরার সুবিধাও। যাঁরা লং ড্রাইভে যেতে ভালবাসেন, তাঁরাও চার চাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন আগরহাটির উদ্দেশে। কলকাতা থেকে ৬৫ কিলোমিটারের রাস্তা, সময় লাগবে ঘণ্টা দেড়েক।
বাঁকিপুট: মন্দারমণি, দিঘা না পসন্দ? যেতে পারেন বাংলার ‘ভার্জিন বিচ’ বাঁকিপুট। পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থিত বাঁকিপুটে খুব বেশি পর্যটকদের ভিড় হয় না। কিন্তু এখানকার শান্ত সমুদ্র সৈকত, ঝাউবন আর ঝিঁ ঝিঁ ডাকে আপনার ক্রিসমাস হয়ে উঠতে পারে অনবদ্য। বাঁকিপুটের সমুদ্র সৈকতে বসে দেখতে পারেন লাল কাঁকড়ার ভিড়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল ফুলে ফেঁপে ওঠে। তখন সমুদ্র স্নানও সারতে পারেন এখানে। আবার ভাঁটা পড়লে চারদিক কাদাবালিতে ভর্তি। মোহনার খুব কাছেই অবস্থিত বাঁকিপুট। কাছেই রয়েছে জনপুট নামের আরও একটি সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও এখান থেকে ঘুরতে যেতে পারেন দরিয়াপুরের বাতিঘর, কপালকুন্ডলা মন্দির ও পেটুয়াঘাটের মৎস্যবন্দর।
দুয়ারসিনি: পুরুলিয়া গিয়েছেন? কখনও দুয়ারসিনিতে রাত কাটিয়েছেন? লোয়ার ড্যাম থেকে বরন্তি বাঙালি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। দুয়ারসিনি সেই চেনা পুরুলিয়ারই অফবিট ডেস্টিনেশন। ছোট ছোট পাহাড় আর শাল-শিমুল-পিয়ালের বনে ঘেরা দুয়ারসিনি। দুয়ারসিনির ভিউ পয়েন্টে উঠে আপনি সবুজে ঘেরা পুরুলিয়ার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। দেখতে পাবেন, কীভাবে সবুজের বুক চিরে বয়ে চলেছে সাতগুড়ুম। দুয়ারসিনি থেকে হাতিবাড়ি, হাড়গাড়া জঙ্গল, টটকো জলাধার, রাইকা পাহাড় খুব কাছেই অবস্থিত। সেখানেও ঘুরে নিতে পারেন এই পুরুলিয়া ট্রিপে।