উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (UTDB) চার ধাম তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক বিশেষ উপদেশনামা প্রকাশ করেছে। উত্তরাখণ্ডের চার ধাম (Char Dham Yatra) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি ২৭০০ মিটার উপরে। সমস্যা হল, বহু লোকেরই সুগার, প্রেশার, হার্টের অসুখ, অ্যাজমা, সিওপিডি, কিডনির রোগের মতো কো মর্বিডিটি থাকে। কোনও তীর্থযাত্রীর (Pilgrims) এই ধরনের অসুখ থাকলে পাহাড়ের অতি উচ্চতায় তা স্বাস্থ্যের (Health Issues)) পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। এমনকী টানটানি পড়ে যেতে পারে প্রাণ নিয়েও! এছাড়া ফি বছরই দেখা যায় অত উঁচুতে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে অনেকেই অসুস্থতার কবলে পড়েন। এছাড়া অতিরিক্ত ঠান্ডা, শুকনো আবহাওয়া, অক্সিজেনের স্বল্পতায় শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিতেও কাহিল হন বহু মানুষ।
এই ধরনের মানুষের কথা ভেবেই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। বিভিন্ন চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর তরফে ওই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় তীর্থযাত্রীদের কাছে যাত্রার আগে হেলথ চেকআপ করানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন ক্রনিক অসুখে ভুগছেন তাঁদের উচিত তীর্থযাত্রায় বেরবার সময় সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের ফোন নম্বর, প্রেসক্রিপশন, যথেষ্ট সংখ্যায় ওষুধ নিয়ে আসা উচিত। এছাড়া কোভিড-এর সমস্যা থেকে সদ্য সেরে ওঠা বয়স্ক নাগরিকদের এখনও তীর্থযাত্রার উদ্দেশে বেরনর বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে বলা হচ্ছে। কারণ কোভিড পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতার শিকার হতে হচ্ছে বহু মানুষকেই। তাই এমন সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে বারংবার।
ওই নির্দেশিকায় আরও কিছু সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে যেমন অতি উচ্চতায় কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত পক্ষে দুই লিটার জল পান করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের উপরেও বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তীর্থযাত্রীদের আপন লক্ষ্যে অত্যন্ত ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। ক্লান্তি, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, মাথাঘোরা, হাট রেট বেড়ে যাওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো সমস্যা মাউন্টেন সিকনেস-এর দিকে নির্দেশ করে। এমন শারীরিক উপসর্গে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে তীর্থযাত্রীদের।
এছাড়া তীর্থযাত্রীদের অ্যালকোহল সেবন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। ঘুমের বড়ি, কফির মতো পানীয়, এবং শক্তিশালী বেদনানাশক সেবন করার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে করা হয়েছে আবেদন। এমনকী নিষেধ করা হয়েছে ধূমপান করতেও। শোনা যাচ্চে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও চার ধাম রুটে চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠামো শক্তপোক্ত করার কাজে হাত লাগিয়েছে।