Char Dham Yatra: অগণিত ভক্ত সমাগমে বেসামাল কেদারনাথ! সুযোগ বুঝে বেড়ে গিয়েছে হোটেলের ভাড়া

Kedarnath Mandir: সম্প্রতি চারধাম যাত্রায় অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ের চাপে গত ৬দিনে ২০ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। আতঙ্ক ছড়িয়েছে তীর্থযাত্রীদের মধ্যেও।

Char Dham Yatra: অগণিত ভক্ত সমাগমে বেসামাল কেদারনাথ! সুযোগ বুঝে বেড়ে গিয়েছে হোটেলের ভাড়া
কেদারনাথ মন্দির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 9:16 PM

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই খুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিখ্যাত তীর্থস্থান চারধাম মন্দির (Char Dham Mandir)। করোনার অতিমারির পর এ বছর থেকেই শুরু হয়েছে তীর্থযাত্রা। ফলে অগণিত ভক্তের সমাগমে বেসামাল অবস্থা উত্তরাখণ্ডের পুলিশ-প্রশাসনের। চারধামের অন্যতম মন্দির কেদারনাথের (Kedarnath Mandir) দরজা প্রবল ঠান্ডায় বন্ধ থাকার পর গত ৬ মে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। করোনার পর এত বিশাল সমাগমের আঁচ পেলেও কেন সঠিক ব্যবস্থা করা হয়নি সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চারধামের চারটি ধর্মীয় স্থানগুলিই পার্বত্য এলাকার বেশ দুর্গম ও সংবেদনশীল জায়গায় অবস্থিত। ফলে সেখানে সমাগম হলে বিপদ হতে পারে, তার আগাম বোঝা গিয়েছিল। সেই বিপদ থেকে রেহাই পাননি তীর্থযাত্রীরা।

স্থানীয়দের মতে, কেদারনাথে দিনে প্রায় ১০ হাজারের মত লোকের থাকার ক্ষমচা রয়েছে। কিন্তু সেই সীমিত ক্ষমতা থাকাসত্ত্বেও কেদারনাথের পথে একটি অপরিহার্য পিটস্টপ গৌরিকুণ্ডে প্রায় ২০ হাজার যাত্রীর সমাগম হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেদারনাথে প্রচুর ভক্তের আগমনে গৌরীকুণ্ডেই তাদের যাত্রাপথ থামানোর চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। ফলে হোটেল ও অন্যান্য রাত্রি যাপনের জন্য ভক্তদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেল বা ধর্মশালা না পেয়ে অনেককে খোলা জায়গায় রাত কাটাতে হয়েছিল। কেদারনাথ ও গৌরীকুণ্ডের সব হোটেলগুলিতেই তীর্থযাত্রীদের ভিড়। ফলে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা তাকতে পেরেছেন। বাইরে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও রাস্তায় ও খোলা জায়গায় রাত কাটিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রচুর তীর্থযাত্রী দেখে সুযোগ বুঝে সব হোটেলের ভাড়া বৃদ্ধি করে দিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাই সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে অধিকাংশ মাথার উপর ছাদ সংগ্রহ করতে পারেননি।

২০১৩ সালে ধ্বংসাত্মক হরপা বাণ ও ভূমিধসে কেদারনাথ মন্দির চত্বরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল প্রায় ছয় হাজারের বেশি। আটকে পড়া তিন লক্ষ তীর্থযাত্রীকে বাঁচাতে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় উদ্ধারকাজ চালিয়েছিল সেনা ও প্রশাসন। ২০০৪ সালে সুনামির পর যদি কোনও প্রকৃতির ভয়ংকর লীলায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সাক্ষী হয় দেশ, তাহলে তারপরেই জায়গা করে নেয় উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়।

প্রসঙ্গত, এই চার ধাম তীর্থস্থান প্রতি গ্রীষ্ম ৬ মাস দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়। সেইসময়ই তীর্থযাত্রা, ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, অক্টোবর মাস হল কেদারনাথ ভ্রমণের সেরা মাস। এই সময় সাধারণত কেদারনাথ মন্দিরে মাত্র একহাজারের মত দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ে।

সম্প্রতি চারধাম যাত্রায় অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ের চাপে গত ৬দিনে ২০ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। আতঙ্ক ছড়িয়েছে তীর্থযাত্রীদের মধ্যেও। আপাতত খেপে খেপে তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাজনিত কারণে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার, হাঁপানির মত রোগ থাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়।