AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tharu Janjati: প্রাচীন এই উপজাতিকে সম্মান জানাতে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে প্রথম ট্রাইবাল মিউজিয়াম!

Tribal Museum: বলরামপুরের উপজাতি জাদুঘরের মতো, রাজ্য সরকার লখনউ, সোনভদ্র এবং লখিমপুর খেরিতেও অনুরূপ আরও উপজাতি জাদুঘর স্থাপনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

Tharu Janjati: প্রাচীন এই উপজাতিকে সম্মান জানাতে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে প্রথম ট্রাইবাল মিউজিয়াম!
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 9:53 AM
Share

দক্ষিণ নেপাল এবং উত্তর ভারতের তেরাইতে আদিবাসীর একটি গোষ্ঠীর নাম থারু। নেপাল ও ভারত সরকার এই থারু উপজাতিদের স্বীকৃত নাগরিক অধিকার হিসেবে প্রদান করেছে। নেপালে যদিও এই উপজাতির একটি সরকারি অধিকার রয়েছে। প্রসঙ্গত, থারুর বেশিরভাগ আদিবাসীর বাসস্থান রয়েছে নেপালেই। এবার ভারতেও সেই স্বীকৃতিকে মর্যাদা দিতে উত্তর প্রদেশে প্রথম আদিবাসী মিউজিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী সরকারি। উত্তর প্রদেশের বলরামপুর জেলার একটি থারু উপসাতিদের বসতি ইমিলিয়া কোডের গ্রাম তৈরি হবে এই থারু উপজাতি যাদুঘর।

প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং জীবনধারাকে কেন্দ্র করে মিউজিামটি রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ৫.৫ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত থারু জনজাতি যাদুঘর প্রায় শেষ হওয়ার পথে। রাজ্যের থারু জনজাতি জাদুঘর প্রায় শেষ হওয়ার পথে, ও স্টেট মিউজিয়ামের ডিরেক্টর এ কে সিং জানিয়েছেন, থারু উপজাতি সম্ভবত ইউপির সবচেয়ে উন্নত উপজাতি। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজেদের মেলে ধরেছেন। কিন্তু সেই সঙ্গে নিজেদের শিকড়ের সঙ্গে ভালভাবে যুক্ত থেকে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করে চলেছে। রাজ্যে এই মিউজিামটি থারুদের সম্পর্কে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাদের বিষয়েও অনেক কিছু তুলে ধরার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, থারু ভাষা থারু সম্প্রদায়ের মধ্যে কথিত একটি ভাষা। নেপাল এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে থারু সম্প্রদায় একই ভাষা ভাগ করে না। বেশ কয়েকটি বিভিন্ন স্থানীয় থারু ভাষায় কথা বলে। নেপালে থারু ভাষা অন্যতম প্রধান ভাষা। থারু মানুষের উৎপত্তি পুরাণ এবং মৌখিক বিশ্বাস দ্বারা বেষ্টিত। ইতিহাস থেকে, থারিকে পৃথিবীর পুত্র হিসাবে মনে করা হয়। ভারতীয় তরাই এলাকা যেমন, উত্তরাখণ্ড উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে তাদের সাধারণত বাস। ভারত সরকার থারু সম্প্রদায়কে একটি তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বলরামপুরের উপজাতি জাদুঘরের মতো, রাজ্য সরকার লখনউ, সোনভদ্র এবং লখিমপুর খেরিতেও অনুরূপ আরও উপজাতি জাদুঘর স্থাপনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এছাড়াও, কনৌজ জেলায় শিশুদের জন্য একটি জাদুঘরও তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সরকারের মুখপাত্রের কথায়, ‘আজাদি কি গৌরবগাথা’ নামে একটি গ্যালারি নির্মাণেরও প্রস্তাব করেছে সংস্কৃতি বিভাগ। লখনউতে স্বাধীনতার নানা কাহিনির উপর ভিত্তি করে গভর্নমেন্ট আর্কাইভস নির্মাণেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর সঙ্গে মিরাট ও গোরক্ষপুরে ন্যাচারাল সায়েন্স মিউজিয়াম তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে। বারাণসীতে সন্ত রবিদাস যাদুঘর তৈরির প্ল্যান রয়েছে এই সরকারের।