কচুশাক ও পুঁটি মাছের এই পদটা খেয়েছেন? অতিথিদের তাক লাগাতে নিজেই রেঁধে ফেলুন
খাবার-দাবারে একটু এক্সপেরিমেন্ট প্রায় হয় না বললেই চলে। মা-ঠাকুমারা যেভাবে রান্নাঘরকেই বানিয়ে তুলেছিলেন তাঁদের রান্নার ল্য়াব, রোজই সেখানে নতুন স্বাদের জন্ম। হারিয়ে যাওয়া তেমনই এক রেসিপি হল ঝাল ঝাল কচুর শাকে পুঁটি মাছ।

আজকালের ব্য়স্ত জীবনে, অনেকের হেঁশেলেই সেই নিত্যনৈমিত্তিক খাবার। খাবার-দাবারে একটু এক্সপেরিমেন্ট প্রায় হয় না বললেই চলে। মা-ঠাকুমারা যেভাবে রান্নাঘরকেই বানিয়ে তুলেছিলেন তাঁদের রান্নার ল্য়াব, রোজই সেখানে নতুন স্বাদের জন্ম। হারিয়ে যাওয়া তেমনই এক রেসিপি হল ঝাল ঝাল কচুর শাকে পুঁটি মাছ।
যা যা লাগবে–
উপকরণ: কচুশাক আধা কেজি (ডাঁটা সহ), পুঁটি মাছ পরিমাণমতো, রসুন আধা কাপ থেঁতো করা, কাঁচা লঙ্কা, ১০/১২টি, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, জিরে বাটা ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, নুন আন্দাজমতো, শুকনো লঙ্কা ২টি (ভেজে নিতে হবে)।
এভাবে তৈরি করুন–
প্রথমে কচুশাক ভালো করে ধুয়ে বেছে ডাঁটাগুলো দেড় ইঞ্চি লম্বা করে এবং শাকগুলো মাঝখান থেকে কেটে নিন। পুঁটি মাছের পেট পরিষ্কার করে ভালো করে গরম জলে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ও থেঁতো করা রসুনের কোয়াগুলো ও পুঁটি মাছ একসঙ্গে ভালো করে ভেজে নিন। অল্প আঁচেই ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে এলে তাতে মাঝখানে চিরে নেওয়া কাঁচা লঙ্কা দিয়ে কচুশাক দিয়ে একটু নেড়ে নিন। আঁচে শাক কমে এলে নুন দিয়ে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে ঢেকে দিন এবং ওভেন মাঝারি আঁচে রাখুন। শাকের জল বের হয়ে শাক সেদ্ধ হয়ে এলে জিরে বাটা দিয়ে মিনিট পাঁচেক কষিয়ে নিন। কষতে কষতে শাক গলে জল টেনে প্রায় শুকনো হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। নামানোর আগে দুটো ভাজা শুকনো লঙ্কা শাকের ওপর দিয়ে দিন। তৈরি আপনার ঝাল ঝাল কচুর শাকে পুঁটি মাছ। গরম ভাতে কিন্তু দারুণ লাগবে।
