উইন্টার স্পেশ্যাল স্নো-লেপার্ড ট্যুর, ফেব্রুয়ারিতেই ঘুরে আসুন উত্তরাখণ্ড

গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের অগস্ট মাসেই এই প্রজেক্টের কথা ঘোষণা করেছিল উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম।

উইন্টার স্পেশ্যাল স্নো-লেপার্ড ট্যুর, ফেব্রুয়ারিতেই ঘুরে আসুন উত্তরাখণ্ড
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই প্রথম বারের জন্য এমন অভিনব ট্যুর করবে উত্তরাখণ্ডের পর্যটন বিভাগ।
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2021 | 4:53 PM

শীতের মরশুমে স্পেশ্যাল স্নো-লেপার্ড ট্যুর চালু করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই প্রথম বারের জন্য এমন অভিনব ট্যুর করবে উত্তরাখণ্ডের পর্যটন বিভাগ।

উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট একটি গ্রাম হার্সিল। ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত ছবির মতো সাজানো এই গ্রামকে ‘ভারতের ছোট সুইৎজারল্যান্ড’-ও বলা হয়ে থাকে। আগামী মাসে সেখানেই প্রথম বারের উইন্টার স্পেশ্যাল স্নো-লেপার্ড ট্যুর করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম।

প্রথম ব্যাচের পর্যটকদের বেছে নেওয়া হবে ‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’ ভিত্তিতে। অর্থাৎ যিনি আগে যাবেন তিনি আগে সুযোগ পাবেন। মূলত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্যই এই ট্যুরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টুইটারে ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজমের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়ায় হয়েছে।

টুইটে বলা হয়েছে এই ট্যুর ‘সিকিওর হিমালয়া প্রোজেক্ট’-এর অন্তর্গত। ভারত সরকার এবং ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) যৌথ ভাবে এই ট্যুরের আয়োজন করেছে। সমস্ত আয়োজনে সাহায্য করেছেন গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি (জিইএফ)। এই প্রজেক্টের লক্ষ্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা। এর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনশৈলি উন্নত করার চেষ্টাও করা হচ্ছে।

এই প্রজেক্টের ক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজমের সঙ্গে সামিল হয়েছে জিইএফ, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক, ইউএনডিপি ইন্ডিয়া এবং উত্তরাখণ্ড বনমন্ত্রক।

গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের অগস্ট মাসেই এই প্রজেক্টের কথা ঘোষণা করেছিল উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম। তখন বলা হয়েছিল উত্তরকাশীর স্নো-লেপার্ড কনজারভেশন সেন্টারে এই ট্যুর করা হবে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে গত বছর পর্যন্ত ৮৬টি স্নো-লেপার্ড বা তুষার চিতাবাঘ ছিল উত্তরাখণ্ডে।

বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে, স্নো-লেপার্ড ‘শিডিউল ১’ ক্যাটেগরিতে রয়েছে। International Union for Conservation of Nature-এর তরফে স্নো-লেপার্ডকে ‘বিলুপ্তপ্রায়’ প্রজাতির অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে।