শুভ জন্মদিন ফারহান আখতার। আজ ৪৭-এ পা দিলেন অভিনেতা। দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত ফারহান। গায়ক-অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফারহান একজন সুদক্ষ পরিচালকও বটে। তিনি নিজে অবশ্য বিশ্বাস করেন পরিচালকের তুলনায় তিনি একজন ভাল অভিনেতা।
অমিতাভ বচ্চনের ভক্ত ফারহান আখতার 'শোলে' দেখেছেন ৫০ বারেরও বেশি। তবুও 'দিওয়ার' তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ ছবি।
মা বলেছিলেন জীবনে সত্যিই সিরিয়াস কিছু না করলে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন। একপ্রকার মায়ের হুমকির ভয়েই 'দিল চাহতা হ্যায়' লেখা শুরু করেন ফারহান। রিলিজের পর এই ছবি বলিউডের মাইলস্টোন সিনেমাগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে যায়। আজও সমান তালে জনপ্রিয় এই ছবি।
গ্র্যাজুয়েশনটাও শেষ করেননি ফারহান। কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর দু'বছর কোনও কাজ করেননি ফারহান। সারাদিন বাড়ি বসে সিনেমা দেখতেন। পরে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ফারহানকে বলতে শোনা গিয়েছে ওই দু'বছরটাই নাকি ছিল তাঁর ফিল্ম স্কুলের পঠনপাঠন।
আরশোলাকে মারাত্মক ভয় পান ফারহান। স্বপ্ন দেখেন নিঃসন্দেহে কোনও একদিন এই ভীতি তিনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
সিনেমার জন্য অনেক অভিনেতাই নিজেদের আমূল পরিবর্তন করেন। তবে 'ভাগ মিলখা ভাগ'-এ ফারহানের শারীরিক বদল চোখে পড়ার মতো ঘটনা।
ফারহানের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবির তালিকায় অবশ্যই থাকবে ;রক অন সিরিজ'। এই সিনেমা তৈরি না হলে জানা সম্ভব ছিল না যে ফারহানের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গায়ক সত্তাও।
'রঙ দে বাসন্তী' ছবির জন্য আমির খানের আগে অফার করা হয়েছিল ফারহানকেই। তবে তিনি না করে দেন। আর এই ঘটনা নিয়ে আজও আক্ষেপ রয়েছে ফারহানের।
বিয়ের ১৬ বছর ডিভোর্স হয়েছে ফারহান আখতারের। বর্তমানে তাঁর বান্ধবী শিবানী দণ্ডেকর। বলিউডে তাঁদের প্রেম বরাবরই ওপেন সিক্রেট। নানা মুনির নানা মত থাকলেও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই ফারহান-শিবানীর। ছুটি কাটাতে গিয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি দেওয়া হোক বা ফারহানের পারিবারিক অনুষ্ঠান, সবেতেই হাজির থাকেন শিবানী।