বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরিক গঠনও পরিবর্তন হতে থাকে। কম বয়সে ওজন কমানো যতটা সহজ হয়, ৩০-এর পর ততটাই কঠিন। তবে, অসম্ভব নয়। বিশেষ কিছু টিপস মেনে চললে ৩০-এর পরও মেদ ঝরানো সহজ হবে।
ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে শরীরচর্চা করাই যথেষ্ট নয়। ৩০-এর পর দেহে যাতে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি না হয়, তার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। অন্যথায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি ঘাটতি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি ওয়েট লস ডায়েটে রাখা দরকার। তার সঙ্গে আপনাকে হাইড্রেট থাকতে হবে। এছাড়াও ডায়েটে আর কী-কী পরিবর্তন দরকার, রইল টিপস।
৩০-এর পর মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়, যা সরাসরি হজম স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও সবজি রাখা দরকার। এতে ওজন কমার পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমবে।
৩০-এর কোঠা পেরোলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন। এই সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার যত কম খাবেন, আপনার আয়ু বাড়বে। তার সঙ্গে ওজন আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার দ্রুত বার্ধক্য ডেকে আনে। তার সঙ্গে একাধিক রোগও। তাই তাজা ফল, সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, কিটো ডায়েটের মতো একাধিক উপায়ে ওজন কমানো যায়। কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন ডায়েট সবচেয়ে উপকারী, তা জানা দরকার। পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ডায়েটই অনুসরণ করা উচিত নয়। তবে, ব্যালেন্স ডায়েট আপনার ওজনকে বশে রাখতে এবং দেহে পুষ্টি ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
বয়স বাড়লে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি মহিলাদের মধ্যে দেখা দেয়। আর বেশি ওজন হাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে আপনাকে ডায়েটে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি ক্যালশিয়াম মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে, যা ওজন কমায়।
অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান কখনওই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। ৩০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পর আরওই মদ্যপান করা উচিত নয়। এতে ওজন বাড়ে, লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।