
সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে কন্ডোম ব্যবহার করতেই হবে। যদিও অনেক যুগলদের মত, কন্ডোম ব্যবহার করলে যৌনমিলন উপভোগ করা যায় না। কিন্তু কন্ডোম ছাড়া শারীরিক মিলন অসুরক্ষিত।

কন্ডোম ল্যাটেক্স (এক প্রকার রবার), পলিউরেথেন বা পলিসোপ্রিনের মতো বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি। এই বস্তু শুক্রাণুকে ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হতে দেয় না। পাশাপাশি কন্ডোম আপনাকে যৌনরোগের হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখে।

কন্ডোম ব্যবহারের পরও সন্তানধারণের ঝুঁকি থেকে যায়। এটা তখনই ঘটে যখন আপনি কন্ডোম ব্যবহারের সময় ভুল করে বসেন। তাই কন্ডোম কেনা বা ব্যবহারের সময় এই ৫ বিষয় খেয়াল রাখুন।

কন্ডোম কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষ বাক্সের গায়ে লেখা তারিখ খেয়াল করেন না। মেয়াদ উত্তীর্ণ কন্ডোম ব্যবহার করলে যোনি এলাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই বিভিন্ন প্রসাধনী ও খাদ্য পণ্য কেনার মতোই কন্ডোমের প্যাকেটের গায়ে লেখা এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিন।

স্ট্রবেরি, চকোলেট বা ভ্যানিলা, বিভিন্ন ফ্লেভারের কন্ডোম ব্যবহার করতে পছন্দ করেন? অনেকেই হয়তো জানেন না, এই ধরনের ফ্লেভারড কন্ডোম ওরাল সেক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছে। পেনিট্রেটিভ সেক্সের সময় ফ্লেভারড কন্ডোম ব্যবহার করলে যোনিতে অস্বস্তি ও সংক্রমণ হতে পারে।

আপনি কন্ডোম কোথায় রাখছেন, সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সবার নজর এড়িয়ে কন্ডোম রাখাটা আপনার জন্য ক্ষতিকারক। কন্ডোম এমন জায়গায় রাখুন এখানে খুব ঠান্ডা বা খুব গরম না থাকে। সূর্যের আলো, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা থেকে দূরে রাখুন। শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় কন্ডোম রাখুন।

অনেকেই মনে করেন, কন্ডোম ব্যবহারে যৌনসুখ কমতে পারে। কিন্তু ল্যাটেক্স কন্ডোম ব্যবহার করলে আপনার যৌনসুখে ভাঁটা পড়বে না। জল-ভিত্তিক বা সিলিকন-ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট বেছে নিন। এই লুব্রিকেন্টে ঘর্ষণ কম হয় এবং যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে।

একটা কন্ডোম একবারই ব্যবহার করুন। প্রথমবার ঠিক মতো ব্যবহার না হলে সেই কন্ডোম দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার ভুল অনেকেই করেন। কিন্তু কন্ডোম একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনকি একই সময়ে ঘন ঘন যৌন মিলনে লিপ্ত হলেও বারবার কন্ডোম পরিবর্তন করা উচিত।