
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিঃশব্দে বেড়ে চলে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গেলে লাইফস্টাইলের উপর জোর দিতে হয়।

কোলেস্টেরলে তেল-মশলা দিয়ে কষিয়ে খাবার খাওয়া চলে না। যে সব খাবারে চর্বির পরিমাণ বেশি, ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় রাখুন ৫টি পানীয়। এই ৫ পানীয় আপনার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলকে জমতে দেবে না। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টিয়ের মধ্যে পলিফেনল রয়েছে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই চা।

দুধ-চিনি ছাড়া লিকার চা পান করুন। ব্ল্যাক টি-এর মধ্যে ক্যাটেচিন রয়েছে, এটি রক্তনালির চাপ কমায়। পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। লিকার চা খেলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

শীত পড়তে বাজারে বিটরুট পাওয়া যাচ্ছে। এই সবজির রস রক্তচাপকে বশে রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। বিটের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি রয়েছে, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে। বিটরুট দেহে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে যা দেহে রক্ত সঞ্চালনকে বজায় রাখে।

শীতকালে কমলালেবুর রস পান করুন। কমলালেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলে। এছাড়া এই ফলের রস পান করলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমবে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমবে না।

রোজ সকালে লেবুর জল পান করুন। এই অভ্যাস আপনার ওজন কমাবে এবং ত্বকেও ভাল রাখবে। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শারীরিক প্রদাহ কমাবে এবং হার্টে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখবে।