পৃথিবীর ১৫ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে। থাইরয়েডের সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি আপনি ৭টি পানীয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ এই পানীয়ের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তোলে। থাইরয়েডের সমস্যায় এই পানীয় দারুণ উপযোগী।
এক গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। অ্যালকালাইন প্রকৃতির এই পানীয় ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এতে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
রোজের ডায়েটে বাটারমিল্ক রাখুন। হাইপোথাইরয়েডিজমে অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বাটারমিল্ক। কারণ এই পানীয়তে রয়েছে প্রোবায়োটিক।
বাদামের দুধও শারীরিক প্রদাহ কমাতে কার্যকর। যাঁদের দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরা আমন্ড মিল্ক পান করতে পারেন। স্মুদির পাশাপাশি চা-কফিতে আমন্ড মিল্ক মিশিয়ে পান করতে পারেন।
গাজর ও বিটরুটের রস পান করুন। এই পানীয় ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও লাইকোপেনের সমৃদ্ধ উৎস, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি এই পানীয় ফাইবারে সমৃদ্ধ। থাইরয়েডের চিকিৎসায় গাজর ও বিটরুটের তাজা রস বানিয়ে পান করুন।
পালং শাক, সেলেরি, ধনে পাতা, পুদিনা পাতার মতো সবজি শাকপাতার তৈরি রস পান করুন। সবুজ জুসের মধ্যে হিলিং উপাদান রয়েছে। আপনি শসার বা লেবুর রস পান করতে পারেন।
অশ্বগন্ধা ও শতবরী থাইরয়েডের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই দুই ভেষজ উপাদানের তৈরি চা রোজের ডায়েটে রাখুন। এছাড়া আপনি গ্রিন টিও পান করতে পারেন। খালি পেটে ভেষজ চা পান করলে বেশি উপকার পাবেন।