Weight Loss Tips: বিকালে দৌড়াবেন নাকি সাইকেল চালাবেন? ভুঁড়ি কমাতে কোনটা বেশি কার্যকর, জানুন
Calories Burn: ওজন কমাতে গেলে ডায়েট ও শরীরচর্চা দু'টোর উপরই জোর দিতে হয়। আপনি হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে, সাঁতার কেটেও মেদ ঝরাতে পারেন। কিন্তু যখন প্রসঙ্গ দৌড়ানো ও সাইক্লিংয়ের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে, তখন ওজন কমাতে কার উপর ভরসা রাখবেন?
ওজন কমাতে গেলে ডায়েট ও শরীরচর্চা দু'টোর উপরই জোর দিতে হয়। যখন প্রসঙ্গ শরীরচর্চার আসে, তখন অনেকেই মনে করেন জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালেই কাজ হবে। অনেকের ধারণা নিয়মিত যোগব্যায়ামেই কমবে মধ্যপ্রদেশের মেদ।
অনেক সময় জিমে না গিয়ে, যোগাসন না করেও ফ্যাট গলানো যায়। আর তার জন্য দৈনন্দিন কাজকর্মের উপর বেশি নজর দিতে হয়। যেমন আপনি হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে, সাঁতার কেটেও মেদ ঝরাতে পারেন। কিন্তু যখন প্রসঙ্গ দৌড়ানো ও সাইক্লিংয়ের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে, তখন ওজন কমাতে কার উপর ভরসা রাখবেন?
ক্যালোরি পোড়ানোর ক্ষেত্রে দৌড়ানো সাইক্লিংয়ের তুলনায় বেশি কার্যকর। এক ঘণ্টা দৌড়ালে ৫৬৬ থেকে ৮৩৯ ক্যালোরি পোড়ে। আর যদি এক ঘণ্টা সাইকেল চালান তাহলে ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি পোড়ে।
সাইকেল চালানোর চেয়ে দৌড়ানো বেশি কার্যকর, এটা দাবি জানাচ্ছে আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিনের গবেষণা। তবে, আপনি কতটা ক্যালোরি বার্ন করবেন তা নির্ভর করে আপনার বয়স, ওজন, লিঙ্গ ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর।
আপনার ওজন যদি বয়স ও উচ্চতার তুলনার অনেক বেশি হয় এবং আপনার যদি হার্ট অ্যাটাক, হাঁটুর ব্যথা কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকেরা সাইকেল চালানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে দৌড়ালে আপনার হার্ট, হাঁটুর উপর চাপ পড়তে পারে।
যদিও আপনার ক'কিলো ওজন ঝরবে তা নির্ভর করে আপনি কতটা পরিমাণে সাইকেল চালাচ্ছেন বা দৌড়াচ্ছেন। দৌড়ালে সাইকেলের চালানোর চাইতে বেশি ক্যালোরি পোড়ে। কিন্তু আপনি যদি নিয়ম করে রোজ দৌড়ান তাহলেই একমাত্র উপকার পাবেন।
তবে শুধু সাইকেল চালালে বা দৌড়লেই ওজন কমবে না। সারাদিনে আপনি কতটা কায়িক পরিশ্রম করছেন সেটাও এখানে জরুরি। অর্থাৎ, এক ঘণ্টা দৌড়ে বা সাইকেল চালানো বাদে অলস জীবনযাপন করলে চলবে না। সারাদিনই আপনাকে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।
শরীরচর্চার পাশাপাশি আপনাকে রোজের ডায়েটের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে এমন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। বরং, যে সব খাবার ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, সেগুলো বেশি করে খেতে হবে। তবেই ভুঁড়ি কমবে।