
ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ।

চিকিৎসকদের মতে, আগে প্লেটলেটের সংখ্যা বজায় রাখাই ছিল আসল। কিন্তু এখন হার্ট, কিডনি, মস্তিষ্ক, লিভার, প্যানক্রিয়াস—একাধিক অঙ্গ কাবু হয়ে পড়ছে ডেঙ্গিতে। ডেঙ্গির এই ভয়াবহতাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গিতে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির উপসর্গ চেনা এবং সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অভিভাবককেই সচেতন হতে হবে। কারণ এখন ডেঙ্গির পাশাপাশি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু।

ডেঙ্গির উপসর্গগুলো চিনে রাখা দরকার। জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, গায়ে র্যাশ বেরোনো ডেঙ্গির সাধারণ উপসর্গ। যদিও আগে ৭-৮ দিনের মধ্যে জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসছি। এখন তার থেকেও বেশি সময় জ্বর থাকছে। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকুন।

সন্তানকে ডেঙ্গি মশার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে, আপনাকেই কোমর বেঁধে নামতে হবে। বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেওয়া যাবে না। এমনকী বাড়ির ছাদ বা বারান্দাতেও নয়। প্রয়োজনে জানলায় মশা আটকানোর জাল বা নেট লাগাতে পারেন।

স্কুলে বাচ্চাকে ফুলহাতা ইউনিফর্ম পরিয়ে পাঠান। এমনকী বাড়িতে ও বাড়ির বাইরেও ফুলহাতা জামা ও ট্রাউজ়ার্স পরান। এতে একটু হলেও ডেঙ্গি মশার হাত থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে পারবেন।

মাঠে যদি মশার উপদ্রব বেশি থাকে তাহলে বাচ্চাকে বাইরে খেলতে পাঠাবেন না। বাড়ির ভিতরেই বাচ্চাকে খেলতে বলুন। যদি বাইরে যেতে হয়, তাহলে মশা তাড়ানোর ক্রিম গায়ে মাখিয়ে দিন।

যেহেতু ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাই রাতে মশারি খাঁটিয়ে ঘুমান। রাতে মশারির ভিতর ঘুমনোর অভ্যাস আপনার শিশু ও আপনাকে ডেঙ্গি মশার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবে। এছাড়া আপনি ঘরে মশা তাড়ানোর ধূপ জ্বালাতে পারেন।