
আজকাল অধিকাংশ বাড়িতে মাসকাবারির মত করে ওষুধ আসে। দিনে যতবার না খাবার খেতে হয় তার থেকে অনেক বেশি ওষুধ খেতে হয়। আর এই ওষুধের তালিকাও নেহাত, ছোট হয় না। প্রেশার, সুগার, ক্যানসার, কোলেস্টেরলের মত সমস্যা এখন ঘরে ঘরে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাতেও হয়েছে রদবদল। রোগের হাত থেকে এখন সহজেই নিস্তার পাও.া যায়। তবে তার জন্য যথা সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে আর ওষুধও খেতে হবে।

অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ওষুধের দামও। বাজারচলতি সাধারণ ওষুধের দাম এখন অনেকটাই। হরমোনের ওষুধ, হার্টের ওষুধ, কোলেস্টেরলের ওষুধের দাম তো অনেকটাই বেশি।

এই দামের জন্য অনেকে একটানা ওষুধ কিনে খেতে পারেন না। যে ওষুধ টানা ৬ মাস খাওয়ার কথা তা হয়তো দুমাস কেনার পর বন্ধ করে দিতে হয় দামের জন্য। তবে এখন অনেকেই জেনেরিক ওষুধ খান। সংশ্লিষ্ট ওষুধের নামের পরিবর্তে অনেক চিকিৎসকই জেনেরিক নাম লিখে দেন।

প্রতিটি সংস্থাই একই কম্পোজিশনে ওষুধ বানায়। এবার সবার দাম সমান হয় না। উনিশ-বিশ তারতম্য থেকেই যায়। এতে কাজের কাজ তো কিছু হয়ই না। এক্ষেত্রে সমাধান একটা আছে তা হল জেনেরিক মেডিসিন।

এবার রোগ-সমস্যা রুখে দিতে আদৌ কি কার্যকর এই জেনেরিক ওষুধ? অনেক ক্রেতার মনেই এই প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ এই ওষুধের দাম অনেকটাই কম পড়ে। কোনও কম পয়সার জিনিস মানেই তা কার্যকরী নয় এমন অনেক ধারণা চেপে রয়েছে আমাদের মনে।

জেনেরিক ওষুধের পুরোটাই নির্ভর করে পেটেন্টের উপর। অনেক ধাপ পেরিয়ে তবেই পেটেন্ট পাওয়া যায়। এরপর ওষুধের একটি নাম দেয় নির্দিষ্ট সংস্থা। এরপর চুটিয়ে ব্যবসা করে যায় সেই সংস্থা। এর ফলেই দাম ওঠানামা করে।

ওষুধ বানানোর খরচ নামমাত্র। এই ওষুধের কম্পোজিশনও এক রকম থাকে। ব্র্যান্ডেড ওষুধ আর এই ওষুধের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। নির্দিষ্ট মাত্রায় খেলে রোগ সারবেই। তাই এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও অর্থ নেই।