Diabetes Drink: ডায়াবেটিসে সব বাদ না দিলে খালি পেটে এই পানীয়তে চুমুক দিন, ভয় থাকবে না ওজন বৃদ্ধিরও
Benefits of Barley Water: ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এক নিমেষে বাদ চলে যায় অনেক ধরনের খাবার। জীবনযাপনেও আনতে হয় নানা বদল। তবে, একটা পানীয় রয়েছে, যা রোজ খেলে সুগার নিয়ে চিন্তা কমবে। এটা হল বার্লির জল। বার্লি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে উপযোগী।
ডায়াবেটিস ধরা পড়লে এক নিমেষে বাদ চলে যায় অনেক ধরনের খাবার। জীবনযাপনেও আনতে হয় নানা বদল। তবে, একটা পানীয় রয়েছে, যা রোজ খেলে সুগার নিয়ে চিন্তা কমবে। এটা হল বার্লির জল।
বার্লিতে রয়েছে ‘বিটা গ্লুকান’ নামের সহজপাচ্য একটি ফাইবার। এই ফাইবার রক্তে অতিরিক্ত শর্করা শোষণে বাধা দেয়। পাশাপাশি মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেয়।
বার্লির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি সুগারের রোগীদের মধ্যে শারীরিক প্রদাহ কমায়। এছাড়াও আর্থরাইটিস, গাউটের মতো প্রদাহজনিত রোগকেও দূরে রাখে।
বার্লির জলের মধ্যে থাকা ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও অন্যান্য হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় বার্লির জল।
সুগারের রোগীদের মধ্যে হৃদরোগ খুব কমন। বার্লির জল খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগও দূরে থাকবে। এই পানীয়তে পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ কমায়ে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
বার্লির জল ক্যানসারের ঝুঁকি প্রতিরোধেও সক্ষম। বার্লির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ক্যানসার, হার্টের সমস্যা ও স্নায়ুর সমস্যাকে দূরে রাখে।
ডায়াবেটিসে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। এই কাজটাও বার্লির জল করতে পারেন। এই পানীয়তে ক্যালোরির পরিমাণ কম। পাশাপাশি এই বিপাকহার উন্নত করে। বার্লির জল খেলে ওজন কমে।
রাতে বার্লি ভাল করে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে দিন। পরদিন সকালে এতে আরেকটু জল মিশিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার বার্লি ছেঁকে নিন। এই বার্লির জলে লেবুর রস ও পুদিনা পাতা মিশিয়ে খান। সকালে খালি পেটে খান বার্লির জল।