কথায় কথায় প্যারাসিটামল খান? অপেক্ষা করছে ভয়ানক বিপদ
প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ওষুধে ভরসা রাখেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় এই ধরনের ওষুধ খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
অনেকেই আছেন, যাঁরা হু করতেই খেয়ে নেন ব্যথার ওষুধ। চিকিৎসকের পরামর্শের ধার ধারেন না তাঁরা। জ্বর, মাথা ব্যথা বা গায়ে হাত পায়ে ব্যথা- অ্যানালজেসিক (Analgesic) গোত্রের ওষুধ মুঠো মুঠো খান।
প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ওষুধে ভরসা রাখেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় এই ধরনের ওষুধ খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
ব্যথার উপশম ঘটাতে চিকিৎসকরাও প্রেসক্রাইব করেন প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ। কিন্তু তারা তা নির্দিষ্ট মাত্রায় দিয়ে থাকেন। নিজে থেকে খেয়ে তা যদি মাত্রা ছাড়ায় তাহলেই বিপদের শুরু।
এত দিন ধরে মনে করা হত, প্যারাসিটামল উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ক্ষেত্রে নিরাপদ। কিন্তু ২০২২ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রক্ত চাপে প্রভাব ফেলে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেনের মতো নন স্টেরোডিয়াল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরিজ (NSAIDs)।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল ১১০ জন রোগীর উপর একটি সমীক্ষা করেছেন। এদের সকলেরই উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস ছিল বা আছে।
এদেরকে রোজ নির্দিষ্ট মাত্রার প্যারাসিটামল দেওয়া হয়েছিল। দিনে চার বার করে প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়েছিল তাঁদের। নির্দিষ্ট মাত্রা এবং মাত্রাছাড়া দুভাবেই তাঁদের প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।
তার পর দেখা যায়, যাঁদের বিক্ষিপ্তভাবে প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়েছে, তাঁদের রক্তচাপে প্রভাব পড়েছে। এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও তাঁদের মধ্যে বেড়েছে।
তাই ইচ্ছামতো প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ব্যথার ওষুধ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ডোজের ওষুধ খান।