রোজ লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। বেলা ১০ টার পর কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে থাকা যাচ্ছে না। রোদে গা-হাত পা একেবারেই পুড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে গলাও শুকিয়ে যাচ্ছে।
গরম বাড়লেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে গজিয়ে ওঠে শরবত, লস্যি, ঠান্ডা পানীয়ের দোকান। প্রচুর মানুষ সেই ঠান্ডা পানীয় রোদের মধ্যে ঢক ঢক করে খান।
এছাড়াও কোল্ড ড্রিংকস তো আছেই। অসচেতন যুবসমাজ জলের বোদলে কোল্ডড্রিংক খেতেই বেশি পছন্দ করেন। পাচ্ছে জলের তেষ্টা, সেখানে ডাব বা ডলের বোতল না কিনে তাঁরা কোল্ডড্রিংক খেনেন।
দিনে দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। কমার আপাতত কোনও রকম পূর্বাভাস নেই। গরম বাড়লে ফ্রিজ থেকে ঢক ঢক করে ঠান্ডা জল, কোল্ড ড্রিংক খাবেন তাঁরা। নিজের বিপদ তো বাড়াবেনই পাশাপাশি বাড়ির লোককেও ঝামেলার মধ্যে ফেলবেন, এমনই আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
কোল্ড ড্রিংকসের মূল উপাদান হল জল। জল দিয়েই তৈরি হয় কোল্ড ড্রিংকস। তবে এর সঙ্গে মেশানো ভালো পরিমাণে খাওয়ার সোডা। এছাড়া সবথেকে বড় কথা হল, এই ড্রিংকসে থাকে কার্বন ডাই অক্সাইড।
এছাড়াও থাকে ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক। যে কারণে শরীরে নানা রকম সমস্যার সূত্রপাত হয়। এক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ীও সমস্যা তৈরি হওয়া সম্ভব। ১০ বছরের কম বাচ্চারা কোল্ডড্রিংক খেলে তাদের ছোট থেকেই সুগার, প্রেশার ধরে যায়।
২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে যাঁরা ঘন ঘন কোল্ডড্রিংক খান তাঁরা অধিকাংশই কর্মজীবী। এই সময় কোল্ডড্রিংক বেশি খেলে মেটাবলিজম কমে যায়। বেশি ঠান্ডা পানীয় খেলে সেখান থেকে ক্যানসারের সম্ভাবনা থেকে যায়। ওবেসিটির সম্ভাবনা তো বাড়েই।