
রোজের রান্নায় যে কোনও একটি পদে হলেও রসুন থাকে। কখনও কখনও প্রতিটা পদেই রসুনের ব্যবহার হয়। আবার স্বাস্থ্য সচেতন হতে গিয়ে, অনেকে কাঁচা রসুনও খান। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে রসুন খাওয়া কি ভাল?

রসুনের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটেরি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। যার জেরে রসুনের উপকারিতাও অনেক। কিন্তু বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে রসুন খেলে স্বাস্থ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

যে কোনও খাবার নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন রাখলে লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভার যেহেতু রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রসুনের পরিমাণ বাড়লে লিভারে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেকেই খালি পেটে রসুন খান। কিন্তু এই অভ্যাস ডায়ারিয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। রসুনের মধ্যে সালফার নামক যৌগ রয়েছে, যা ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ন্যাশানাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের মতে, খালি পেটে রসুন খেলে বুক জ্বালা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। একই তথ্য উঠে এসেছে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণাতেও। তাই প্রতিদিন খালি পেটে রসুন খাওয়ার আগে দু'বার ভাবুন।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, খালি পেটে রসুন খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। রসুন অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে আপনি প্রায়শই পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে পারেন।

রান্নায় রসুন দিয়ে খেলে সেই অর্থে খুব বেশি ক্ষতি হয় না। কিন্তু কাঁচা রসুন খেলে বেশি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া কাঁচা রসুন খেলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। এটাও সালফার নামের রাসায়নিক যৌগের কারণে ঘটে।

অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে এটি রক্তকে পাতলা করে দেয়। এই অবস্থায় ছোটখাটো কাটাতেও অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পাশাপাশি রসুনের পরিমাণ বাড়লে হঠাৎ করে রক্তচাপও কমে যেতে পারে। তাই বিপদ এড়াতে বুঝেশুনে রসুন খান।