
আমরা হয়তো জিভের দিকে খুব বেশি নজর দিই না। কিন্তু কোনও রোগ নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গেলে, চিকিৎসক সবার আগে জিভ দেখেন। জিভেই একাধিক রোগে উপসর্গ প্রকাশ পায়। জিভের রং থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিবর্তন আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারে।

গরম চা বা কফিতে চুমুক দিলে জিভ পুড়ে যায়। সারাক্ষণ অস্বস্তি হতে থাকে। একইভাবে, ঠান্ডা লেগে জিভে ফুসকুড়ি হলেও অস্বস্তি তৈরি হয়। এই অস্বস্তি ছাড়াও জিভের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। জিভের কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন সচেতন হওয়া জরুরি, রইল টিপস।

মুখের মধ্যে যদি ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয় তাহলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। এই সাদা আস্তরণ নিয়মিত জিভ পরিষ্কার না করলেও দেখা যায়। আবার শরীরে জল বা তরলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়।

শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকলেও জিভের উপর তার উপসর্গ প্রকাশ পায়। আপনার ঠোঁট যদি স্ট্রবেরির মতো লাল হয়ে যায়, বুঝবেন শরীরে ভিটামিনের অভাব তৈরি হয়েছে। দেহে ভিটামিন বি-এর ঘাটতি থাকলে এই ধরনের লক্ষণ জিভে ফুটে ওঠে।

ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যাস? তার সঙ্গে ধূমপানও করেন? এতেও জিভের উপর কালো আস্তরণ পড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কড়া উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও তার প্রভাবে জিভের উপর কালচে আস্তরণ পড়ে।

জিভের রং হঠাৎ করে নীল বা বেগুনি হয়ে গেলে সচেতন থাকুন। দেহে অক্সিজেনের অভাবে জিভের রং পরিবর্তন হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফুসফুস বা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা হলে জিভের রং নীলচে হতে থাকে।

জিভ যদি ফ্যাকাশে হয়ে যায়, বুঝবেন দেহে আয়রন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অথবা, আপনি রক্তাল্পতায় ভুগছেন। যেহেতু মহিলারা বেশি অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হন, তাই মাঝেমধ্যে জিভের রং খেয়াল রাখা দরকার।

যদি অটোইমিউন রোগে ভোগেন, তারও লক্ষণ আপনার জিভে ফুটে উঠতে পারে। জিভের উপর সাদা চাকা চাকা দাগ কিংবা লালচে ছোপ অটোইমিউন রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই বিষয়ে সচেতন থাকুন।