একাকিত্ব, অবসন্ন অনুভব হওয়ার পিছনে থাকতে পারে কর্টিসল হরমোন। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে থাকলে দেহে কর্টিসল হরমোনের মাত্রার হেরফের হতে পারে। যার ফলে অবসাদ গ্রাস করে এবং দেহের উপরেও নানা প্রভাব পড়ে
কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে হঠাৎ করে দেহের ওজন বেড়ে যাবে। এছাড়া পেশি দুর্বলতা, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া, হাইপারটেনশন এবং অস্টিওপোরোসিস কর্টিসল হরমোন বেড়ে যাওয়ার উপসর্গ
কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হলেও মন ও দেহের উপর নানা প্রভাব পড়ে। যেমন, মাথা ব্যথা, দেহের ওজন হ্রাস, ক্ষিদে হ্রাস এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার উপসর্গ। তাই শরীর ও মন ভাল রাখতে এই হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ ৫টি উপায়েই কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রথমত, রাতে ঠিকমতো ঘুমান। পর্যাপ্ত ঘুম কর্টিসল হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
জোরে-জোরে শ্বাস টানুন এবং নিঃশ্বাস ছাড়ুন। প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা সময় এটা করুন। এই ব্যায়াম কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ থেকে অনেকটা স্বস্তি দেয়
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম, মেডিটেশন, হাঁটা, সাঁতার, সাইক্লিংয়ের মতো শরীরচর্চা করুন। এগুলি নিয়মিত করলে ঘুম ভাল হবে। আর ঘুম ভাল হলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মানসিক চাপ কমবে
মানসিক চাপ থেকে কিছুটা রেহাই দিতে অনেক জায়গায় লাফিং ক্লাস হয়। সেরকম ক্লাসের সঙ্গে যুক্ত হলে বা মন খুলে হাসলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমে। তার ফলে মানসিক চাপও কম হয়
মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম হাতিয়ার হল, সঙ্গীর সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক। রোজ দিন শুরু করুন সঙ্গীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার মধ্য দিয়ে। প্রেমিক হোক বা স্বামী বা সহকর্মী- সুস্থ সম্পর্ক থাকলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে