পুষ্টিবিদদের মতে, ভারতীয় থালি শরীরের সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। আর এই ভারতীয় থালির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল ভাত ও রুটি। কেউ ভাত খেতে ভালবাসে, আবার কারও রুটি ছাড়া চলে না। কিন্তু স্বাস্থ্যের দৌড়ে এগিয়ে কে?
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেকেই রুটিকে বেছে নেয়। অনেকের ধারণা ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু ফিট থাকার জন্য আপনি রুটি খাবেন নাকি ভাত, সেটা জানা দরকার। তবে রুটি সবসময় আটার তৈরি হওয়াই ভাল।
ওজন কমানোর ডায়েটে কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রাখা হয়। এ দিকে ভাত ও রুটির মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। কিন্তু পুষ্টির দিক দিয়ে বেশ ফারাক রয়েছে ভাত ও রুটির মধ্যে।
ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ নগণ্য। কিন্তু ১২০ গ্রাম রুটিতে ১৯০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। অর্থাৎ ভাতের চাইতে রুটিতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। সুতরাং, যাঁরা রক্তচাপের সমস্যা নেই তাঁরা সহজেই ভাত ও রুটি দুটোই খেতে পারেন।
আজকাল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে।
ফাইবারের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এই দৌড়ে সবসময় আটার তৈরি রুটি এগিয়ে। জোয়ার, বাজরা, ওটসের তৈরি রুটি খেতে পারলে আরও ভাল। ভাতে ডায়েটরি ফাইবারের পরিমাণ সেই অর্থে কম। সুতরাং, ডায়াবেটিসের রোগীদের রুটি খাওয়াই ভাল।
ক্যালোরির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ভাতে এর পরিমাণ বেশি। রুটিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। সুতরাং, যাঁরা ওয়েট লস ডায়েট অনুসরণ করেন তাঁদের রুটি খাওয়াই ভাল। আটা, ওটস, জোয়ার, বাজরার তৈরি রুটি ফাইবার, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে পরিপূর্ণ।
আপনার যদি বদহজমের সমস্যা থাকে, পেট খারাপের সমস্যায় ভোগেন তাহলে রুটি খাবেন না। এক্ষেত্রে ভাত স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। ভাতের মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ বেশি, যা দ্রুত হজম হয়ে যায়। ভাতের মধ্যে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।