যতদিন যাচ্ছে গুরুতর হচ্ছে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, জাঙ্কফুডের উপর দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণে নিয়ন্ত্রণে নেই ইউরিক অ্য়াসিড।
আমাদের দেহে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, বাইকার্বনেট বা এলকালাইন অর্থাৎ ইলেকট্রোলাইটস-এর ব্যালেন্স রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইউরিক অ্যাসিড। মানুষের রক্তে খুব অল্প পরিমাণে থাকে এটি, যা মূলত দেহের ডেড সেল এবং খাদ্যের উপাদান পিউরিন থেকে উৎপন্ন হয়।
শরীরে তৈরি হওয়া বেশিরভাগ ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং শরীর দ্বারা প্রস্রাবের আকারে নির্গত হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে হাইপারুরিসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যার জেরে হাড়ের জয়েন্টগুলিতে অসহ্য়কর যন্ত্রণা অনুভব হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর জন্য ও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দৈনন্দিন ডায়েটে যে যে খাবার তালিকাভুক্ত করা দরকার, সেগুলি জেনে নিন…
প্রাকৃতিক জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক ভেষজের মধ্য়ে অন্যতম হল ত্রিফলা। বিভিতকী, আমলা ও হরিতকীর সংমিশ্রণই হল ত্রিফলা। এতে প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে যা ইউরিক অ্য়াসিডের সঙ্গে সম্পর্কিত বাতের ব্যথা কমায়।
আরও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ গল গুলঞ্চ বা গুরুচি। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ মাত্রা ছাড়ালে এই উপাদান তা বাগে আনে। প্রতিদিন এক গ্লাস করে গুলঞ্চের রস পান করুন। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে এই ভেষজ গ্রহণ করবেন।
নিমকে প্রকৃতির অলৌকিক আশীর্বাদ বলা হয়। ত্বক থেকে শুরু করে চুল, স্বাস্থ্য সব কিছুর খেয়াল রাখে নিম। কাঁচা নিম পাতা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গেই ব্যথা-বেদনা কমায়।
হলুদে উপস্থিত প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট ইউরিক অ্য়াসিডের জন্য হওয়া অসহ্য গাটে ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। ব্যথার স্থানে হলুদের পেস্ট লাগিয়ে রেখে দিন। ফল পাবেন।