
ভিটামিন এ থেকে ক্যালশিয়াম—সব পুষ্টিই আমাদের দেহে কিছু না কিছু কাজ করে। একইভাবে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন আয়রন।

হিমোগ্লোবিন হল লোহিত কণিকায় উপস্থিত এক ধরনের প্রোটিন, যা অক্সিজেন বহন করে এবং রক্তের রং লাল করে। এই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি আপনার দেহে রক্তাল্পতা রোগ ডেকে আনতে পারে।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বেশি। দেহে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি তৈরি হলে ত্বক ফ্যাকাশে, ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে দেহে আয়রনের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। আর আপনি শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে। এমন বেশ কিছু পানীয় রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

শীতের বাজারে দেখা মেলে আমলকি। আপনি যদি রোজ সকালে আমলকির রস পান করলে দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হবে না। এই পুষ্টি ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে এবং দেহকে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। পাশাপাশি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

শীতকালে খেতে পারেন বিটের জুস। বিটরুটের মধ্যে আয়রন সহ একাধিক পুষ্টি রয়েছে। এটি দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মহিলাদের ডায়েটে অবশ্যই এই পানীয় রাখা দরকার।

বেদানার রস দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এই ফলের রসে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন সি-ও পাওয়া যায়। তাই রক্তাল্পতার ঝুঁকি এড়াতে বেদানার রস খেতেই হবে।

গরমকালে তেষ্টা মেটায় আখের রস? এই পানীয় শীতকালেও খান। আখের রসের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে। এই পানীয় আপনার দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।