
শীতকালে বাজারে গেলে সকলের চোখে পড়ে মুলো। সাদা, লাল দুই রঙের মুলোই অনেকে বাজারের থলেতে ভরে বাড়ি আনেন। আবার অনেকেই মুলো দেখলেই মুখ ঘুরিয়ে নেন।

মুলো অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। এই সবজি খেলে একাধিক রোগ সারে। তবে অনেকের মুলো খেলে গ্যাস হয়। মুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিকই। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে।

মুলোতে সালফার-সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই উপাদান পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে গ্যাস তৈরি করে। যার ফলে অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন।

শীতের পরিচিত সবজি মুলোর মধ্যে সালফার-সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিডের পাশাপাশি গ্লুকোসিনোলেট থাকে। এই উপাদানটি হজমের সময় গ্যাস তৈরি করে।

মুলো খেলে সকলের গ্যাসের সমস্যা হয় এমনটা নয়। যদি হয়ও, তা হলে খাওয়া বন্ধ করতে হবে না। পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন। প্রথমে অল্প পরিমাণে মুলো খাওয়া শুরু করুন। অভ্যেস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান।

অনেকের কাঁচা মুলো খাওয়ার অভ্যেস আছে। স্যালাডেও অনেকে কাঁচা মুলো খান। তবে কাঁচা মুলোর তুলনায় রান্না করা মুলো সহজে হজম হয়। ফলে কাঁচা মুলো চিবিয়ে খাওয়া কমালে গ্যাসের সমস্যা কমে।

শুধু মুলোর তরকারি খেলে যদি কারও গ্যাসের সমস্যা হয়, তা হলে অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে মুলো খেতে পারেন।

মুলো বা মুলোর তরকারি খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে পারেন। তা হলে ফাইবার সহজে হজম হয় এবং গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।