শীতকার আসার আগে যে আমেজটা তৈরি হয়, তা ভাল লাগলেও স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। এই ঋতু পরিবর্তনের মুখে একটু বেপরোয়া হলেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়। পাশাপাশি এখন কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই অবস্থায় শরীরকে সুস্থ রাখতে কীভাবে?
শীতকাল বাজারে নানা রকম সবজি ও ফল পাওয়া যায়। ইমিউনিটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মরশুমি সবজি ও ফল সবসময় কার্যকর। তবে, এই মরশুমে যদি রোজ একটা করে আমলকি খান, একটা রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
আমলকির মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। জ্বর-সর্দির মতো মরশুমি রোগের হাত থেকে বাঁচতে রোজ একটা করে আমলকি খান।
ভিটামিন সি ছাড়াও আমলকির মধ্যে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমায়। এতে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে।
শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বক ও চুলের উপরও প্রভাব ফেলে। কিন্তু রোজ আমলকি খেলে ত্বক ও চুলের সমস্যা কমে। এই ফল ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। এছাড়া খুশকির সমস্যাকে প্রতিরোধ করে আমলকি।
আমলকি শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি মনেরও খেয়াল রাখে। আমলকির মধ্যে থাকা পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মানসিক চাম কমাতে সাহায্য করে। মূলত অক্সিডেটিভ হরমোনের ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণ করে আমলকি, যা উদ্বেগ, অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
শীতকালে তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দেখা দেয়। শীতের আমেজে পেটের গণ্ডগোল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে আমলকি। আমলকি পরিপাকতন্ত্র থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
বাঙালি আমলকি শুকনো করে খাওয়ার অভ্যাস। সবচেয়ে ভাল উপকার পাওয়া যায়, যদি কাঁচা আমলকি খান। এছাড়া আমলকির রস বের করে খেতে পারেন। স্যালাদেও রাখতে পারেন কাঁচা আমলকি। এতে শীতকালে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।