চিলাপাতা অভয়ারণ্যে। জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে একটি। অথচ এখানেই অনিয়ম হচ্ছে গাছের দেখাশোনার। নেই গাছের যথাযথ সংরক্ষণ। ছগুলি টুরিস্ট গাইডদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। গাছে আঁচড় কাটতেই দরদর করে ঝরে পড়ছে লাল আঠা। ফলত অস্তিত্ব সংকটে এই জঙ্গল।
রামগুয়া গাছ। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এই গাছগুলিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইডদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে চিলাপাতার জঙ্গলে মাত্র ছয়টি রামগুয়া গাছ রয়েছে। পরিবেশ প্রেমীদের আশঙ্কা এই গাছগুলো যদি বনদফতর আইনগত ভাবে সংরক্ষণ না করে তবে অচিরেই চিলাপাতার জঙ্গল থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বর্তমানে চিলাপাতার জঙ্গল ছাড়া উত্তরবঙ্গের ন্যাওড়াভ্যালি এবং নিম্ন অসমের জঙ্গলে খুবই কম সংখ্যায় এই রামগুয়া গাছ দেখতে পাওয়া যায়। চিলাপাতার জঙ্গলে যে ছয়টি রামগুয়া গাছ রয়েছে তার মধ্যে একটি গাছের অবস্থা খুবই সংকটজনক। কারণ চিলাপাতার জঙ্গলে জিপ সাফারি করার পথেই এই রামগুয়া গাছটি রয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই জঙ্গলে পর্যটক প্রবেশ করলেই এই গাছের দেহ খোদাই করে গাছটির থেকে লাল আঠালো রস বের করে তা পর্যটকদের সামনে তুলে ধরেন ট্যুরিস্ট গাইডরা। ফলে গাছটি ধিরে ধিরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে।
চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির কনভেনর অভিক গুপ্তা বলেন, "আমরা বনদফতরের কাছে এই বিরল প্রজাতির গাছটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছি। অনেক পর্যটক রয়েছে যারা না বুঝেই গাছগুলো খোদাই করে গাছ গুলো ক্ষতি করছে। অবিলম্বে এই গাছ গুলো সংরক্ষণের আওতায় এনে গাছ গুলোকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন এক চ্যালেঞ্জ।