তিনি টাটা সন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রতন টাটার ভাই। অথচ তিনি না কি থাকেন এক দুই কামরার ফ্ল্যাটে। এমনকি নেই মোবাইলও। এটাই জিমি টাটা।
রতন টাটার জীবন ও কাজ নিয়ে চর্চার শেষ নেই। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই, তাঁর এক ভাই রয়েছে। আসলে এতটাই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন জিমি টাটা। ফলে, তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানাও যায় না।
একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী মুম্বইয়ের কোলাবা এলাকায় এক দুই কামরার ফ্ল্যাটে থাকেন জিমি টাটা। ৮২ বছরের ব্যক্তিটি তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে খুব একটা বাইরে বেরও হন না। বাড়িতে লোকজন আসাও তিনি পছন্দ করেন না।
একাই থাকতে পছন্দ করেন। লো প্রোফাইলে থাকেন। সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করেন না।
তিনি টাটা সন্স, টিসিএস, টাটা মোটরস, টাটা স্টিল, টাটা কেমিক্যালস, ইন্ডিয়ান হোটেলস, টাটা পাওয়ারের মতো টাটার বিভিন্ন সংস্থার স্টেকহোল্ডার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জিমি টাটা জানিয়েছিলেন, টাটা গোষ্ঠীর বস্ত্রশিল্প ব্যবসায় তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
২০২২ সালে এক টুইটে হর্ষ গোয়েঙ্কা জানিয়েছিলেন, জিমি টাটার কোনওদিনই ব্যবসায় উৎসাহ ছিল না। তিনি খুব ভাল স্কোয়াশ খেলোয়াড় ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন হর্ষ। বলেছিলেন, তাঁকে অনেকবার এই খেলায় হারিয়েছেন জিমি।
অবশ্য টাটা পরিবারে জন্ম হয়নি জিমি টাটার। তিনি এক পার্সি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর, রতন টাটার মা নবা বাই টাটা তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি রতন টাটা তাঁর এবং তাঁর ভাইয়ের ছোটবেলার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সাদা-কালো ছবিটি ১৯৪৫ সালের বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, "সে দারুণ সুখের দিন ছিল।"