শিয়া বাটার ত্বকের কন্ডিশনিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি শুষ্ক এবং নিস্তেজ ত্বক হয়ে থাকে, স্কিন কেয়ার রুটিনে যোগ করতে পারেন শিয়া বাটার। এই একটি মাত্র উপাদানই ত্বককে একসঙ্গে ময়শ্চারাইজড এবং হাইড্রেটেড করে।
সেনসিটিভি স্কিনের ব্যক্তিরা সহজেই কোনও প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করতে পারেন না। ত্বকে র্যাশ, জ্বালাভাবের সমস্যা দেখা দেওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু এর জন্য ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করবেন না, তা হয় না। এই ক্ষেত্রে শিয়া বাটার আপনাকে সাহায্য করতে পারে। শিয়া বাটার একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকের জ্বালাভাবও কমিয়ে দেয়।
শিয়া বাটার ভিটামিন ই-এ সমৃদ্ধ। এই পুষ্টি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। গরমকালের সবচেয়ে বড় সমস্যা সানবার্ন। নিয়মিত শিয়া বাটার দিয়ে ত্বক মালিশ করলে কমে যেতে পারে এই সমস্যা।
নবজাতকের ডায়পার র্যাশ হয় অনেক সময়। এই সমস্যা থেকেও রেহাই দিতে সাহায্য করে শিয়ার বাটার। অন্যান্য ক্রিমের বদলে এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে শিশুর ত্বকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ত্বকের একজিমার সমস্যায় জর্জরিত? এই সমস্যাকেও দূর করে শিয়া বাটার। শিয়া বাটার ত্বকের প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। শিয়া বাটারের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট রয়েছে। এই উপাদান ত্বকের প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
শিয়া বাটারের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন ত্বকের কোলাজেন গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই কোলাজেন নামক প্রোটিন ত্বককে বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে হ্রাস করতে সাহায্য করে। বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধ করতে নিয়মিত শিয়া বাটার মাখতে পারেন।