অনেকেই বাস্তু শাস্ত্র মেনে তবে বাড়ি কেনেন। আবার অনেকে বাড়ি কেনা বা বানানোর আগে এই সব বিষয়ে মাথায় ঘামান না। কিন্তু বাস্তু শাস্ত্র কিন্তু বলছে বাড়ি কেমন ভাবে তৈরি হচ্ছে, তা আদৌ সঠিক নিয়ম মেনে বানানো হয়েছে কিনা তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। রোজকার জীবন, কর্মক্ষেত্র, টেনশন, দাম্পত্য জীবন, সব কিছুর উপরেই এর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি বাস্তু দোষেই কিন্তু বিঘ্নিত হতে পারে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও।
আপনিও যদি দীর্ঘ মানসিক টেনশনের মধ্যে থাকেন, তার কারণ হতে পারে বাস্তুদোষ। আগে প্রায় সব ঘর আয়তাকার হত। ঘরের ভিতরে বাথরুম, জলের কল কিছুই থাকত না। কিন্তু এখন ফ্ল্যাট কালচারে সেই সব ধারায় পরিবর্তন এসেছে। টেনশন দূরে রাখতে কী করবেন? কী ভাবে কাটাবেন বাস্তুদোষ? রইল টিপস।
বাড়ির প্রধান দরজা যদি উত্তর দিকে হয় এবং বায়ু কোণে যদি ঘর তৈরি করা হয়, তা হলে বাড়ির কর্তার কোনও না কোনও কারণে অর্থ নষ্ট হয় এবং আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে সব সময় অর্থ কষ্ট থাকার সম্ভাবনা থাকে।
যদি বাড়ির ঈশান কোণ উঁচু হয় এবং ঈশান কোণের মাঝখানে যদি কুয়ো, বা কোনও গর্ত অথবা জলের ট্যাঙ্ক থাকে, তা হলে আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ঈশান কোণ ছোট এবং অগ্নিকোণ বড়ো হলে সংসারে অশান্তি ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
জমির বায়ু কোণ উঁচু হলে অথবা উত্তর দিক ও বায়ু কোণের মাঝখানে ঘর তৈরি করলে বাস্তুদোষের ফলে শত্রু বৃদ্ধি পায় এবং বাড়ির কর্তা বার বার অসুস্থ হন।
জমির দক্ষিণ দিক বা পশ্চিম দিকের এক ভাগ অথবা পশ্চিম দিকের সমস্ত জমি যদি নিচু হয়, তা হলে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে হয়। অর্থ কষ্ট লেগেই থাকে।
যদি কোনও জমির পূর্ব দিক উঁচু বা নিচু হয় এবং পূর্ব দিকের দেওয়াল ঘেঁষে ঘর বা রাস্তা থাকে, তা হলে সেই বাড়ির সন্তানের জীবনে গভীর সঙ্কট তৈরি হয় এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা জীবনে বার বার অপমানিত হন।
জমির উত্তর, পূর্ব কোণ নিচু এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ কোণ যদি উঁচু হয়, তা হলে সেই বাড়ির কন্যা সন্তানের ভাগ্যে সুখ শান্তির অভাব হয়, ফলে মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়।