AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বড় হার

সাফল্যের ইতিহাস ও বর্তমান পারফরম্যান্সের উপর ভর করে কিছু দল ফেভারিট তকমা নিয়ে ফুটবলের মহাযজ্ঞে ঝাঁপায়। বাকিরা আন্ডারডগ। বিশ্বকাপ জেতা তো দূর, ফুটবল সমর্থকরা ধর্তব্যের মধ্যেই রাখে না সেই দলগুলিকে। চার বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফের শুরু হচ্ছে ফুটবলের মহোৎসব। ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে প্রিয় দলের সেরা পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় সমর্থকরা। কিন্তু পরিকল্পনা সবসময় খাটে না। অপেক্ষাকৃত বড়় দলগুলিকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দেয় ছোট দলগুলি।

| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2022 | 8:30 AM
Share
দক্ষিণ জার্মানি ৩-২ হাঙ্গেরি (১৯৫৪): ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে দুর্ধর্ষ কামব্যাক করে জার্মানরা। কিন্তু একটা সময় বিশ্বকাপের মঞ্চে জার্মানদের আন্ডারডগ হিসেবেই ধরা হত। ১৯৫৪ সালে সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানি সব হিসেবে উল্টে দিয়েছিল। ফাইনালে স্বল্প পরিচিত পশ্চিম জার্মানি মুখোমুখি হয় শক্তিশালী হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে। যার আক্রমণভাগে ছিলেন ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার ফেরেঙ্ক পুসকাস। গ্রুপ পর্বে ৮-৩ ব্যবধানে হাঙ্গেরির কাছে বিধ্বস্ত হয় পশ্চিম জার্মানি। ফাইনালের প্রথম অর্ধে দুই গোলে এগিয়ে ছিল হাঙ্গেরি। প্রবল চাপের মধ্যেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় জার্মানরা। ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ এগোয় ২-২ ব্যবধানে। হেলমুট রানে তাঁর দ্বিতীয় গোল করতেই হাঙ্গেরি সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে যায়। জার্মানদের ওই কামব্যাক ফুটবলের ইতিহাসে পরিচিত "দ্য মিরাক্যাল অব বার্ন" নামে। (ছবি:টুইটার)

দক্ষিণ জার্মানি ৩-২ হাঙ্গেরি (১৯৫৪): ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে দুর্ধর্ষ কামব্যাক করে জার্মানরা। কিন্তু একটা সময় বিশ্বকাপের মঞ্চে জার্মানদের আন্ডারডগ হিসেবেই ধরা হত। ১৯৫৪ সালে সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানি সব হিসেবে উল্টে দিয়েছিল। ফাইনালে স্বল্প পরিচিত পশ্চিম জার্মানি মুখোমুখি হয় শক্তিশালী হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে। যার আক্রমণভাগে ছিলেন ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার ফেরেঙ্ক পুসকাস। গ্রুপ পর্বে ৮-৩ ব্যবধানে হাঙ্গেরির কাছে বিধ্বস্ত হয় পশ্চিম জার্মানি। ফাইনালের প্রথম অর্ধে দুই গোলে এগিয়ে ছিল হাঙ্গেরি। প্রবল চাপের মধ্যেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় জার্মানরা। ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ এগোয় ২-২ ব্যবধানে। হেলমুট রানে তাঁর দ্বিতীয় গোল করতেই হাঙ্গেরি সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে যায়। জার্মানদের ওই কামব্যাক ফুটবলের ইতিহাসে পরিচিত "দ্য মিরাক্যাল অব বার্ন" নামে। (ছবি:টুইটার)

1 / 6
আলজেরিয়া ২-১ দক্ষিণ জার্মানি (১৯৮২): সেবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নের খেতাব নিয়ে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানি। দলে হান্সি মুলার, উল্ফগ্যাং ড্রিমলার, কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে, লোথার ম্যাথাউসের মতো তাবড় তাবড় ফুটবলার। সেই দলকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল আলজেরিয়া। অপরিচিত একঝাঁক নাম নিয়ে দল গড়া আলজেরিয়ার রাবাব মাজদের ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গোল করে জার্মানদের প্রথম ধাক্কা দেয়। রুমেনিগে সমতা ফেরালেও আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড লাখদার বেল্লোউমির গোলে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি।(ছবি:টুইটার)

আলজেরিয়া ২-১ দক্ষিণ জার্মানি (১৯৮২): সেবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নের খেতাব নিয়ে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানি। দলে হান্সি মুলার, উল্ফগ্যাং ড্রিমলার, কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে, লোথার ম্যাথাউসের মতো তাবড় তাবড় ফুটবলার। সেই দলকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল আলজেরিয়া। অপরিচিত একঝাঁক নাম নিয়ে দল গড়া আলজেরিয়ার রাবাব মাজদের ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গোল করে জার্মানদের প্রথম ধাক্কা দেয়। রুমেনিগে সমতা ফেরালেও আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড লাখদার বেল্লোউমির গোলে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি।(ছবি:টুইটার)

2 / 6
উত্তর কোরিয়া ১-০ ইতালি (১৯৬৬): বিশ্বকাপ দল নিয়ে উত্তর কোরিয়া ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেছিল। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নর্থ কোরিয়ানদের ভিসা দিতে অস্বীকার করে। যাই হোক, ভিসা সমস্যা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়া আরও কিছু চমক দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল। ম্যাচ চলাকালীন ইতালির মিডফিল্ডার জিয়াকোমো বুলগারেলি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ১০ জনের ইতালিকে বাগে পেয়ে সাত মিনিটের মধ্যে গোল করেন উত্তর কোরিয়ার পাক ডু ইক। সেদিনের ওই ম্যাচটি উত্তর কোরিয়া শুধু জেতেইনি। দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। (ছবি:টুইটার)

উত্তর কোরিয়া ১-০ ইতালি (১৯৬৬): বিশ্বকাপ দল নিয়ে উত্তর কোরিয়া ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেছিল। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নর্থ কোরিয়ানদের ভিসা দিতে অস্বীকার করে। যাই হোক, ভিসা সমস্যা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়া আরও কিছু চমক দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল। ম্যাচ চলাকালীন ইতালির মিডফিল্ডার জিয়াকোমো বুলগারেলি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ১০ জনের ইতালিকে বাগে পেয়ে সাত মিনিটের মধ্যে গোল করেন উত্তর কোরিয়ার পাক ডু ইক। সেদিনের ওই ম্যাচটি উত্তর কোরিয়া শুধু জেতেইনি। দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। (ছবি:টুইটার)

3 / 6
ক্যামেরুন ১-০ আর্জেন্টিনা (১৯৯০):বিশ্বকাপজয়ী, ফুটবল বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ। যার নেতৃত্বে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের সামনে সহজ প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন। বিশ্বকাপে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের আবার প্রথম বিশ্বকাপ। সান সিরো স্টেডিয়ামে সেদিন শক্তিশালী আর্জেন্টিনার ম্যাচের সূচনা করে দারুণভাবে। গোল শূন্যভাবে কাটে ম্যাচের প্রধমার্ধে। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় ক্যামেরুন। দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যভাগে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ায় ক্যামরুন। এরপর শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত মারাদোনাদের আটকে রেখেছিল আফ্রিকার দেশটি।

ক্যামেরুন ১-০ আর্জেন্টিনা (১৯৯০):বিশ্বকাপজয়ী, ফুটবল বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ। যার নেতৃত্বে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের সামনে সহজ প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন। বিশ্বকাপে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের আবার প্রথম বিশ্বকাপ। সান সিরো স্টেডিয়ামে সেদিন শক্তিশালী আর্জেন্টিনার ম্যাচের সূচনা করে দারুণভাবে। গোল শূন্যভাবে কাটে ম্যাচের প্রধমার্ধে। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় ক্যামেরুন। দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যভাগে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ায় ক্যামরুন। এরপর শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত মারাদোনাদের আটকে রেখেছিল আফ্রিকার দেশটি।

4 / 6
ফ্রান্স ০-১ সেনেগাল: একটি দেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। অন্যটি অভিষেককারী। ২০০২ বিশ্বকাপের ওপেনিং ম্যাচ। ফরাসিদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল সেনেগালিজরা। ৩০ মিনিটে পাপ বৌবা দিওপের গোল। ৯০ মিনিটের পর সেনেগাল দেখল গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে তাঁরা। প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলাতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছিল তারা। (ছবি:টুইটার)

ফ্রান্স ০-১ সেনেগাল: একটি দেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। অন্যটি অভিষেককারী। ২০০২ বিশ্বকাপের ওপেনিং ম্যাচ। ফরাসিদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল সেনেগালিজরা। ৩০ মিনিটে পাপ বৌবা দিওপের গোল। ৯০ মিনিটের পর সেনেগাল দেখল গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে তাঁরা। প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলাতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছিল তারা। (ছবি:টুইটার)

5 / 6
জার্মানি ৭-১ ব্রাজিল (২০১৪): ১৯৫০ সালে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের যন্ত্রণায় মুছে ফেলার বড় সুযোগ ছিল ব্রাজিলের সামনে। সাম্বার দেশে শুরু হয় ফুটবলের মহোৎসব। নিজ নিজ গ্রুপ থেকে শীর্ষে নকআউটে, এরপর ফাইনালে ওঠার হাতছানি জার্মানি ও ব্রাজিলের সামনে। দুর্ভাগ্যবশত কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল পায়নি চোট পাওয়া দলের তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রকে। সেমিফাইনালের ১১ মিনিটে জার্মানি প্রথম গোল করে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ২৩ থেকে ২৯ মিনিটের মধ্যে চারটি গোল। গোটা স্টেডিয়াম এবং ফুটবল বিশ্বকে থমকে দিয়ে সাতবার ব্রাজিলের জালে বল জড়ায় জার্মানরা। শেষ মুহূর্তে সান্ত্বনার গোল ব্রাজিলের। ফাইনাল স্কোর ৭-১। মিনেইরোর যন্ত্রণা আজও তাড়া করে বেড়ায় ব্রাজিলিয়ানদের। (ছবি:টুইটার)

জার্মানি ৭-১ ব্রাজিল (২০১৪): ১৯৫০ সালে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের যন্ত্রণায় মুছে ফেলার বড় সুযোগ ছিল ব্রাজিলের সামনে। সাম্বার দেশে শুরু হয় ফুটবলের মহোৎসব। নিজ নিজ গ্রুপ থেকে শীর্ষে নকআউটে, এরপর ফাইনালে ওঠার হাতছানি জার্মানি ও ব্রাজিলের সামনে। দুর্ভাগ্যবশত কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল পায়নি চোট পাওয়া দলের তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রকে। সেমিফাইনালের ১১ মিনিটে জার্মানি প্রথম গোল করে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ২৩ থেকে ২৯ মিনিটের মধ্যে চারটি গোল। গোটা স্টেডিয়াম এবং ফুটবল বিশ্বকে থমকে দিয়ে সাতবার ব্রাজিলের জালে বল জড়ায় জার্মানরা। শেষ মুহূর্তে সান্ত্বনার গোল ব্রাজিলের। ফাইনাল স্কোর ৭-১। মিনেইরোর যন্ত্রণা আজও তাড়া করে বেড়ায় ব্রাজিলিয়ানদের। (ছবি:টুইটার)

6 / 6