পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন মূত্রনালীতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে। মূত্রনালীর মাধ্যমে শরীরের মাধ্যমে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে তা থেকে নানারকম সংক্রমণ দেখা যায়। এর ফলে তলপেটে অসহ্য ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভব করা, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, মূত্রথলীতে ফোলাভাব, কখনও কখনও প্রস্রাব করার সময় রক্তও পড়তে দেখা যায়, পেটে ব্যথা, জ্বর আসার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এর হাত থেকে বাঁচতে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন।
প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হলে ইউটিআই-এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা দিলেই প্রচুর পরিমাণে জল পান করা শুরু করুন। বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন এতেও বাড়তে পারে সংক্রমণের ঝুঁকি। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত প্রস্রাব না হলেও সতর্ক হন।
ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ইউরিন ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচতে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য রাখুন। ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব থেকে উপশম দিতে সাহায্য করে।
নিয়মিত প্রোবায়োটিক খাদ্য খেলে কমতে পারে ইউটিআই-এর সমস্যা। শুধু তাই নয়, প্রোবায়োটিক খাদ্য আপনাকে যোনির সংক্রমণ থেকেও দূরে রাখবে। এতে থাকা জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য আপনি নিয়মিত টক দই খান। এছাড়াও ঘরে তৈরি আচারও খেতে পারেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইউটিআই-এর সংক্রমণ এড়াতে আনারস কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর কারণ হল আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন নামক উৎসেচক শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। গরমের সময় যেহেতু আসছে তাই প্রতিদিনে আনারস আপনি খেতে পারেন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, লেবু, মধুও এই সংক্রমণের সময় খুব উপকারী। এক গ্লাস জলের মধ্যে ২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশান। তারপর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত এই পানীয় খেতে পারেন। এতে কমবে ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি।
প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আপনি এক গ্লাস জলে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়েও পান করতে পারেন। মূত্রনালীতে সংক্রমণ যাতে কিডনিতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য গ্রহণ করতে পারেন এই ব্যবস্থা। তবে বেকিং সোডার পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না।